|
---|
উজির আলী, নতুন গতি, চাঁচল: অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণের দাবি, সমকাজে সমবেতন ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা সহ একাধিক দাবি নিয়ে অনির্দিষ্ট কালের কর্মবিরতি শুরু করল চাঁচল কলেজের অস্থায়ী কর্মীরা। শুক্রবার মালদহের চাঁচল কলেজের অস্থায়ী কর্মীরা কলেজের কাজ বন্ধ করে গেটের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ বসেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্য অস্থায়ী কলেজ কর্মী সমিতির ডাকে সমকাজ সমবেতন সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে গোটা রাজ্যজুড়ে।তারই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ চাঁচল কলেজে এই দিন বিক্ষোভ কর্মসূচি দেখা যায়।
কলেজ সূত্রে জানা যায়,বর্তমানে চাঁচোল কলেজে অস্থায়ী কর্মী সংখ্যা ০৭ ও স্থায়ী ১৩ জন। অস্থায়ীরা কেউ দীর্ঘ ০৮ বছর আবার কেউ ১২ বছর ধরে চাঁচল কলেজের অস্থায়ীতে কর্মরত। সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে যাওয়ার পরেও তাদের বেতন ন্যূনতম বেতনে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অস্থায়ীরা। এবং চাকরিটিও স্থায়ী নয়। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হতে হচ্ছে বলে দাবী। এদিন তারা এরই প্রতিবাদে কলেজ গেটের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করে। যতদিন না তাদের এই দাবি মানা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য বিক্ষোভ কর্মসূচি করবেন বলে জানান অস্থায়ী কর্মী নুরসেদ মহম্মদ।
তিনি আরও জানান বর্তমানে আমরা কলেজে সাত জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছি আমাদের কোনো সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো নেই, নেই কোনো স্থায়ী চাকরি। এরই প্রতিবাদে গোটা পশ্চিমবঙ্গের অস্থায়ী কলেজ কর্মীর সমিতির ডাকে আমরা আজ কলেজের সামনে এই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে। যতদিন না এ ব্যাপারে আমাদের কোনো আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে ততদিন আমাদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে।
অস্থায়ী কর্মীরা কলেজের বিভিন্ন কাজ বন্ধ রাখায় কলেজের স্বাভাবিক কাজকর্মে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। এদিকে এই ঘটনায় সবচেয়ে প্রভাবিত হয়েছে কলেজের পড়ুয়ারা। চাঁচল কলেজের ছাত্রী বিষ্টু দাস ও রাখী খাতুনরা দরকারি কাজে কলেজে আসি কলেজে এসে দেখি কলেজে কাজ বন্ধ । কোন কাজ হচ্ছে না। খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের।
এবিষয়ে চাঁচল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. নুরুল ইসলাম জানান, সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো ও অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণের দাবি নিয়ে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে স্থায়ী কর্মী সমিতির অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে। এই দিন চাঁচল কলেজেও এই অবস্থান-বিক্ষোভ চলে যার ফলে কলেজের সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়তে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খুব দ্রূত এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা দরকার।