|
---|
আলিফ ইসলাম: মেমারি : ০৪ মার্চ : পূর্ব বর্ধমানের মেমারির কবি,ক্রীড়াবিদ এবং ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সাংবাদিক সুফি রফিক উল ইসলাম এর পৈত্রিক ভবন সঞ্চয়িতা ভবনে তাঁর সঞ্চয়িতা লাইব্রেরির কক্ষ উদ্বোধন হল। বর্ষীয়ান কবি, গীতিকার,প্রবন্ধকার,গায়ক আবু মনিরুদ্দিন চৌধুরী এবং কবি, প্রাবন্ধিক শ্যামল বারুরীর হাত ধরে ফিতে কেটে উদ্বোধন ঘটে এই সঞ্চয়িতা লাইব্রেরি কক্ষের। এরপর উপস্থিত সকল কবি ব্যক্তিত্ব কেক কেটে মিষ্টি মুখ করেন। এরপর স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন অথবা বক্তব্য পেশ করেন মঞ্চাসীন ব্যক্তি, উপরিউক্ত বিশিষ্ট দুইজন ছাড়া কবি কুশল দে, গল্পকার অমিয় মুখোপাধ্যায় এবং বিশিষ্ট সঞ্চালক শ্যামাপ্রসাদ চৌধুরীর সঙ্গে উপস্থিত বিশিষ্ট কবি ব্যক্তিত্ব —- সৈয়দ আতাউর রহমান, ডাঃ সেখ সাবের আলি, শুভাশিস মল্লিক,পার্থ সখা অধিকারী, কৃষ্ণা গাঙ্গুলি, রুনু শ্যাম, কল্পনা রায়,তন্দ্রা রায়, মিনতি গোস্বামী, মনোয়ারা খাতুন, সায়ন্তী হাজরা, রেহানাজ ইয়াসমিন, সেখ জাহাঙ্গীর, সেখ হাসানুজ্জামান, রনজিৎ বিশ্বাস,তাপস ভূষণ সেনগুপ্ত, চিরঞ্জীব ঘোষ, অশোক কুমার বর্মন,সফি আলম মন্ডল , কাজী মোমিনুল হক, সেখ আনসার আলি, সেখ মহম্মদ ইউনুস, কাঞ্চন দাশ, মোমিনুল ইসলাম, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অর্ঘ্য বসু , রিকি ইসলাম ও রোদ্দুর ইসলাম প্রমুখ প্রায় চল্লিশ জন উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্ট সঞ্চালক শ্যামাপ্রসাদ চৌধুরীর সঙ্গে কলমের মুখ পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিক পার্থ সখা অধিকারী, বর্ধমানের দুই সঞ্চালক সেখ জাহাঙ্গীর, সায়ন্তী হাজরা সমগ্ৰ অনুষ্ঠানটির সুচারু সঞ্চালনায় ছিলেন। ১৯৭৪ সালে বাল্যকালে মনে বই প্রেমের ক্ষুধা কে জাগিয়ে তুলে পথ চলা শুরু কবিতা ও ক্রিকেট প্রেমী সুফি রফিক উল ইসলামের সঞ্চয়িতা লাইব্রেরির। ১৯৭৭ সাল থেকে আবেদন-নিবেদন করে তাঁর বাবার কাছ থেকে বই রাখার জন্য ১৯৭৮ সালে কাঠের আলমারি পেয়েছিলেন। ক্রীড়া সাংবাদিক কবি সুফি রফিক উল ইসলাম নিজ প্রচেষ্টায় নিজের গ্ৰন্থাগার কক্ষ তৈরি করে এইদিন সেই কক্ষের উদ্বোধন ঘটালেন সাহিত্য সভার মাধ্যমে। বিশ্বনবী, সঞ্চয়িতা, সঞ্চিতা প্রভৃতির সঙ্গে বিভিন্ন লেখকের গল্প-কবিতা সমগ্ৰ সহ নিজেদের সম্পাদনায় প্রকাশিত কলমের মুখ, বিভিন্ন লিটলম্যাগ, বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পত্রিকা, স্মরণিকা, বিদ্যালয় পত্রিকা এমনকি পাক্ষিক পত্রিকাও এই সঞ্চয়িতা লাইব্রেরিতে স্থান পেয়েছে।সব থেকে বিস্ময়কর সংরক্ষণ হল ক্রীড়াবিদ-কবি সুফি রফিক উল ইসলাম তাঁর তিন দিন বয়সে তাঁর ঠাকুমার দেওয়া প্রথম পোষাক পাজামা-পাঞ্জাবি বিশেষ যত্ন সহকারে সংরক্ষিত করে রেখেছেন।এই মহতী প্রচেষ্টা উপস্থিত প্রত্যেক গুণীজনের প্রশংসা লাভ করে। কবির পরিবারে কবির সহমর্মিণী কাজী রেহানাজ ইয়াসমিন এবং পুত্রদ্বয় সুফি রামিজ উল ইসলাম ও সুফি রাফিদ উল ইসলাম উপস্থিত প্রত্যেক গুণীজনের কাছে একান্ত আপন হয়ে ওঠেন।এই মহতী সভায় পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র বাংলাদেশের কবি-সম্পাদক কাজী নূর বিদ্রোহী পত্রিকার বিজয় দিবস বিশেষ সংখ্যা ২০২২ পত্রিকাটি তাঁর ভাই কাজী মোমিনুল হকের হাতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া বড়শুলের আবু মনিরুদ্দিন চৌধুরী ঘনরাম কথা ১৪২৯, সৈয়দ আতাউর রহমান গোধূলি বেলায় আলাপ, মিনতি গোস্বামী অমল তাসের আঙিনায়, তন্দ্রা বসু সহচরী প্রভৃতি পত্রিকা ও পুস্তক কবি সুফি রফিক উল ইসলাম কে উপহার দেন।