সন্তোষপুর প্রধান পল্লীতে আমরা তরঙ্গের উদ্যোগে নবীজী (স:)-র স্মরণে মিলাদ অনুষ্ঠান।

সংবাদদাতা : মহেশতলা পৌরসভার ০৯ নং ওয়ার্ডের সন্তোষপুর দ: পদিরহাটি প্রধান পল্লীতে আমরা তরঙ্গের পরিচালনায় গত ১৭ ও ১৮ ই ডিসেম্বর ২০১৯ , ‘নবীজী(স:)-র স্মরণে মিলাদ’ অনুষ্ঠানে দুইদিন ব্যাপি একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।প্রাক্তন অঞ্চল প্রধান ও বিশিষ্ট সমাজসেবী মরহুম মো:আনোয়ার আলি মোল্লা এতদঞ্চলে সকলের নিকট আনোয়ার প্রধান নামেই বিশেষ পরিচিত ছিলেন। সেই কারনে প্রধান পল্লী নামকরন হয়। অর্থনৈতিকভাবে দূর্বল এই এলাকায় অশিক্ষা ও সঙ্কর্নতাকে দূরে সরিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রধান পল্লীর আমরা তরঙ্গ এক মনমুগ্ধকর পরিবেশে বসে আকো, ইসলামিক ক্যুইজ,ইসলামী কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগীতার আয়োজন করে এবং প্রতিযোগীদের উপহার ও শংসাপত্র প্রদান করেন। সম্বর্ধনা ও আলোচনা সভায় সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়এলাকার চার মসজিদের ইমাম ও মাতোয়ালি সহ মহেশতলা পৌরসভার পৌরপারিষদ তথা এলাকার পৌরপিতা মাননীয় তাপস হালদার ও বিশিষ্ট সমাজসেবী হাজী আলাউদ্দিন ফকির মহাশয়কে। আলোচনায় পৌরপিতা তাপস হালদার মহাশয় বলেন মুসলমান সমাজে শিক্ষার প্রসার অনেক বেশি প্রয়োজন।ধর্মীয় শিক্ষা থাকব, তার সঙ্গে সাধারণ শিক্ষা এবং সহশিক্ষার বিশেষ দরকার।তিনি আমরা তরঙ্গের প্রশংসা করেন এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য।হাজী আলাউদ্দিন ফকির বলেন আমাদের এই ছোটছোট ছেলেমেয়েদের আগামীদিনে এগিয়ে যাওয়ার পথে সাহায্য করতে হবে।এছাড়া এরকম অনুষ্ঠানেরও প্রয়োজন আছে।মৌলানা ক্বারী মুফতী আব্দুল রাকিব সাহেব বলেন শুধু দ্বীনি শিক্ষাই শেষ কথা নয়।সাধারন শিক্ষা ছাড়া দ্বীনকে বোঝা যাবে না।মসলমান সমাজে নারীদের শিক্ষায় জোর দিতে হবে।ডাক্তার,উকিল,চাকরী, ইন্জিনীয়ার প্রভৃতি পেশায় বেশীবেশী করে যোগদান করতে হবে।তবেই মুসলমান সমাজের উত্তরণ ঘটবে।তিনি আমরা তরঙ্গের সকল সদস্য দের ধন্যবাদ জানান,বিশেষকরে রিয়াজউদ্দিন মোল্লাকে যার মস্তিস্কপ্রসূত এই অনুষ্ঠান।বিশ্বের সকলের জন্য ,শান্তির জন্য দোওয়ার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয় ।