|
---|
মঞ্জুর মোল্লা, নদীয়া: কৃষ্ণনগরের সরভাজা-সরপুরিয়া জি,আই স্বীকৃতি পেতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে।খুশির হাওয়া কৃষ্ণনগরে।অতীতে আছে ঘরের জানালা দরজা বন্ধ করে খুব গোপনে সরভাজা তৈরি করতেন অধর চন্দ্র দাস যাতে এই বিশেষ মিষ্টি তৈরি পদ্ধতি ছড়িয়ে না পড়ে। কৃষ্ণ দাস কবিরাজ রচিত চৈতন্যচরিতামৃততে এ’মিষ্টি উল্লেখ আছে। জানান যায় চৈতন্যদেব যেসব সমস্ত মিষ্টি খেতে পছন্দ করতেন তার মধ্যে একটি সরপুরিয়া। অদ্বৈত আচার্য নিজেও সরপুরিয়া পাঠাতেন প্রচলিত মতে সরপুরিয়া সৃষ্টিকর্তা কৃষ্ণনগরের অধরচন্দ্র দাস। প্রথমে তিনি কৃষ্ণনগর বিভিন্ন এলাকায় ফেরি করে এই মিষ্টি বিক্রি করতেন অধর চন্দ্র।১৯০২ কৃষ্ণনগর লেদের পাড়ায় দোকান তৈরি করেন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রেরে সময়ে কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে থেকে এই সরপুরিয়া নাম ছড়িয় পড়তে থাকে। সেই থেকে আজও পর্যন্ত নদিয়ার কৃষ্ণনগরের খুবি জনপ্রিয় এ’মিষ্টি বললেও কোন বলা হয়
কৃষ্ণনগরে সরপুরিয়া ও সরভাজা বিখ্যাত।
দোকানে মিষ্টি কিনতে সময় এক বৃদ্ধ মহিলা জানান দীর্ঘদিন ধরে আমরা কৃষ্ণনগরের সরপুরিয়া খেয়ে আসছি সরপুরিয়া ও সরভাজা বলতে গেলে অধরের মিষ্টি কৃষ্ণনগর বিখ্যাত সরপুরিয়া সরভাজা জিআই পেলে খুবি আনন্দিত হবো। কৃষ্ণনগরের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সরপুরিয়া সরভাজা জিআই এ’দাবি তুলে আসছেন সব অবসান ঘটে সরপুরিয়া ও সরভাজা জি,আই স্বীকৃতি মিলুক।