|
---|
সংবাদদাতা : উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বারাসতের দক্ষিন সিথির খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হলো সর্বভারতীয় ক্বেরাত সম্মেলন রবিবার অনুষ্ঠিত প্রথম বর্ষের সর্বভারতীয় ক্বেরাত সম্মেলন ঘিরে বারাসতবাসীর উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো।ক্বেরাত সম্মেলনের সভাপতি হজরত মাওলানা নুরুল হক কাসেমী ও বিশিষ্ট শিক্ষক মাওলানা আবু সিদ্দিক খানসহ একাধিক মানুষের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের দারুল উলুম দেওবন্দের প্রধান ক্বারী হযরত শাইখ ক্বারী আব্দুর রউফ৷ অন্যান্য ক্বারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের ইশায়াতুল উলুম আক্কেলকুয়া প্রধান ক্বারী আফজাল হোসেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হাফেজ ক্বারী নাজমুস সাকিব, ক্বারী আবুজার গেফারী, ক্বারী রুহুল আমিন, ক্বারী হেদায়াতুল্লাহ সহ একাধিক ক্বারীগন৷ এদিন বিশিষ্ট ক্বারীদের ক্বেরাতে মুখরিত ছিল বারাসত কাজীপাড়া জগদীঘাটা জে.এস.সি ফুটবল প্রাঙ্গন।সর্বভারতীয় ক্বেরাত সম্মেলনের আহ্বায়ক তথা সিরাত সম্পাদক বিশিষ্ট শিক্ষক আবু সিদ্দিক খান বলেন, ‘পবিত্র কুরআন মাজীদ বিশুদ্ধভাবে পাঠ করলে মহান আল্লাহপাক সন্তুষ্ট হন, অসংখ্য নেকি পাওয়া যায়, পাশাপাশি পবিত্র কুরআন বিশুদ্ধ ভাবে তেলাওয়াত ও পবিত্র কুরআনের প্রতি সকল মানুষকে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে আমরা বারাসতবাসী মাদ্রাসা-মসজিদ সহ ধর্মপ্রাণ মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও আন্তরিক সহযোগিতা নিয়ে এই সর্বভারতীয় ক্বেরাত সম্মেলনের উদ্যোগ৷’
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আলহাজ্ব একেএম ফারহাদ জগদীঘাটাতে অনুষ্ঠিত সর্ব ভারতীয় ক্বেরাত সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখার সময় সূরা মোজাম্মেল এর আয়াত তুলে ধরে বেশি বেশি করে কোরআন পাঠের আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন, ‘কোরান শরীফে শান্তি, সম্প্রীতি, সৌভাতৃত্ব, সাম্যের বাণী গুলো বর্তমান সময়ে খুবই প্রাসঙ্গিক। এই জাতীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরে কোরআন শরীফের সেই সমস্ত বাণী গুলো ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব’ বলে মন্তব্য করেন।রবিবার অনুষ্ঠিত সর্বভারতীয় ক্বেরাত সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন, ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা সাহিম সিদ্দিক, পীরজাদা হাসানুজ্জামান, জামিয়াতে উলামায়ে হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুস সালাম সাহেব, ক্বারী আব্দুল হক সাহেব, মুফতি লিয়াকত আলী, শেখ গোলাম মোস্তফা, হাসান আলি খান,হাফেজ নাসিরুদ্দিন, আব্দুল খালেক সাহেব, মোহাম্মদ সামিম, মাওলানা মনজুর আলম প্রমুখ৷ এছাড়াও এলাকার বহু হাফেজ, ক্বারী, উলামা, শিক্ষানুরাগীরা উপস্থিত ছিলেন৷ দর্শক আসনে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো৷