|
---|
প্রতিনিধি : আজিজুর রহমান, গলসি :- সরকারের নির্দেশ অমান্য করে গলসির পুরসা হাসপাতালে ঢুকছেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। তাদের প্রলোভিত করা ওষুধ লিখছেন হাসপাতালের একদুটি ডাক্তার। তবে বাইরের ওষুধের দোকানে বার বার ওষুধের কিনে রোগ সারছে না এমনই অভিযোগ স্থানীয় রোগী আত্মিয়দের। এলাকাবাসী জাহির আব্বাসের দাবী, হাসপাতালের ডাক্তাররা বাইরের ওষুধ লিখছেন। বাইরে কেনা ওষুধের ডুপ্লিকেট। তাই বার বার খেয়েও কোন কাজ হচ্ছেনা। বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রশাসনক ও হাসপাতাল কতৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান। ঘটনার কথা জানতে পেরে, কড়া ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দিয়েছেন পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ ডাক্তার স্বর্ণাভ হাজরা। তিনি বলেন, সব নির্দেশ দেওয়া আছে। তার পরও নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ থাকার সত্বেও যদি কোন মেডিকেল অফিসার এমন করেন তাহলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। তার সাফ কথা রোগী আত্মীয়রা তাকে জানালে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। এদিন দুপুর নাগাদ এক ওষুধ কোম্পানি প্রতিনিধিকে হাসপাতালে আউটডোরের ভিতরতে ওষুধ হাতে দেখা যায়। সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখতেই তিনি আউট থেকে হাসপাতালে গেটের বাইরে চলে আসেন। তিনি বলেন, কোন কোন সরকারী হাসপাতালের ডাক্তাররা মিট করেন তাই আসি। এখানে এসে দেখি ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধি প্রবেশ নিষেধ তাই আর ঢুকিনি। তবে স্থানীয়দের দাবী, সকাল বিকাল ওষুধ কোম্পানী লোক ঢুকছে হাসপাতালে। এলাকাবাসী সেখ গুলজারের দাবী, একদুটি ডাক্তার কিছুদিন ধরে যাচ্ছেতাই ভাবে বাইরের ওষুধ লিখছেন। ইচ্ছামতো বাইরের টেস্ট দিচ্ছেন। হাসপাতালের ওষুধ থাকার সত্বেও কমিশনের লোভে বাইরের ওষুধ লিখছেন। তার দাবী, আগের বিএমওএইচ ফারুক হোসেন থাকার সময় কার হুম্মত থাকেনি। বর্তমানে এমন হওয়ায় বিনামূল্যে চিকিৎসা করতে আসা রোগীদের পকেট কাটছে। ফলে নামকরা পুরসা হাসপাতালটি ধীরে ধীরে বদনাম হচ্ছে। তার দাবী, ডাক্তারদের লেখা প্রেসক্রিপশন গুলি নিয়মিত চেক করে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নিক। এই বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম বলেন, শুধু পুরসা নয় কোন সরকারি হাসপাতালে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ ভিজিট করতে পারবে না। কি হয়েছে এ বিষয়ে বিএমওএইচ এর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার নির্দেশ দেব।