শত কন্ঠে শত কবি রহড়ার অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

লুতুব আলি, ১১ এপ্রিল :  রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরসূরী বিশিষ্ট কবি ও গীতকার পরাশর বন্দ্যোপাধ্যায় এর ভাবনা ও পরিকল্পনায় উত্তর চব্বিশ পরগনার রহরাতে শুরু হয়েছে শত কন্ঠে শত কবি কবিতা পাঠের আসর।রহরার স্বামী পুন্যা নন্দ মুক্তমঞ্চে ১০ এপ্রিল এই অনুষ্ঠানে র সূচনা হয়েছে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন রাজ্যের বর্ষীয়ান কৃষিমন্ত্রী তথা কবি শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়।এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কবি সুরভী চট্টোপাধ্যায়। শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বলেন :কবি হিসাবে পরিচয় দিতে বড্ড ভয় হয় …… কবিতা প্রত্যেকের হৃদয়ে আছে, কার ও প্রকাশ করার ক্ষমতা আবার কার ও সুপ্ত অবস্থায় থাকে। বাঙালি অহঙ্কার নিয়েই জন্ম গ্রহণ করেন। লং জার্নি হলে মন্ত্রী মশাই গাড়িতে বসেই কবিতা লিখে সময় পাশ করেন। কবি সুরভী চট্টোপাধ্যায় বলেন,পারদর্শী হওয়ার দক্ষতা সকলের কাছেই আছে। সঠিকভাবে মনোনিবেশ করলে শারীরিক যে কোনো অক্ষমতার ঊর্ধ্বে গিয়া সফলতা আনা সম্ভব।অনুষ্ঠানের আয়োজক পরাশর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,কবির প্রকৃত স্বত্তার উন্মোচন হলে কবি চিরদিন বেঁচে থাকেন মানুষের মাঝে।বাঙালিদের বিপন্নতা বাঙালি নিজেই ডেকে আনছে।এদিক থেকে আমাদের আরও সজাক হতে হবে।ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠায় পরাশরবাবু উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রাজ্যও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কবিরা কবিতা পাঠ করার জন্য এসে হাজির হচ্ছেন।১২ এপ্রিল অবধি এই অনুষ্ঠানটি চলবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রহরা পুর সভার চেয়ারম্যান নীলু সরকার।অনুষ্ঠানে বর্ষীয়ান কবি আবুমনিরুদ্দিন চৌধুরী র কথা ও কবিতা শুনে সকলে প্রাণিত হয়ে যান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন poet foundation এর পুরোধা মানস চক্রবর্ত্তী,মিতালী চক্রবর্ত্তী ছাড়াও অধ্যক্ষ ও কবি অভিজিৎ গোস্বামী,জয়দেব চক্রবর্ত্তী,পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়,মানিক চন্দ্র দে,সুভাষ সাহা, আনন্দ রায়, শচীন হালদার,সুদীপ মুখোপাধ্যায়,জিতা লাহিড়ী,বিক্রমজিত রায়, জয়া বন্দ্যোপাধ্যায়,মন সাহা রায়,নীপা চক্রবর্ত্তী,নীলাঞ্জনা চক্রবর্ত্তী,রুপা চক্রবর্ত্তী প্রমুখ। এঁরা সকলেই বিশিষ্ট ব্যক্তি ও কবি।উল্লেখ্য, অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে বন্ধু ওয়েলফেয়ার সোসাইটি র পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন সৌমিত্র মন্ডল ও সেচ্ছাসেবী সংস্থা রোদ্ধ্যা র পক্ষ থেকে গৌরব সাহার আয়োজনে জল সত্র র ব্যবস্থা করা হয়।সমগ্র অনুষ্ঠান সুচারু ভাবে সঞ্চালনা করেন প্রসেনজিৎ ঘটক ও সুভাষ দাশগুপ্ত।