আবারো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, নতুন গতি নদীয়া : ছাত্র-ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কাছে করোনার কালো মেঘ! রাজনৈতিক সভা সমিতির উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাপারে অতি সচেতন সরকার। বিশ্বের ছুটি সময় না আসা সত্ত্বেও, আগেভাগে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলো আজ থেকে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মনিশ জৈন এক্স বিজ্ঞপ্তি মেল করে জানান পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয় পঠন-পাঠন এবং আনুষঙ্গিক বেশ কিছু বিষয় বন্ধ থাকবে। তবে মিড-ডে-মিল এবং অফিশিয়াল কাজকর্ম কিছুটা চালু থাকবে বিদ্যালয় কর্মচারীদের জন্য।

    বেলাগাম করোনা, টুইটে বাংলার মানুষকে রক্ষার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর করোনার আতঙ্কে দীর্ঘ কয়েক মাস বন্ধ ছিল স্কুল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে স্কুল খুললেও কোভিড বিধি মেনেই স্কুলে যাচ্ছিল ছাত্রছাত্রীরা। এরপরও কোনও কোনও স্কুলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে আসায় স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়। তবে মার্চ মাস থেকেই ফের করোনা পরিস্থিতি বেসামাল হতে শুরু করে। টিকাকরণ চললেও ক্রমশই ভয়াবহ আকার নিয়েছে কোভিড সংক্রমণ। আর এর জন্য মূলত নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে মাশুল গুণতে হল ছাত্র-ছাত্রীদের। ফের একবার বন্ধ হয়ে গেল স্কুলের পঠণপাঠণ।

    মাত্রা ছাড়িয়েছে বাংলার দৈনিক করোনা সংক্রমণ। ফলে আর কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে এবার মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যের সমস্ত স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। এগিয়ে আনা হল গরমের ছুটি। সোমবার এমনটাই ঘোষণা করল রাজ্য শিক্ষা দফতরের

    ভয়ংকর চিত্র! ৫ দিনে করোনায় আক্রান্ত ১২ লাখের বেশি, উল্লেখ্য, গত বছর করোনা আতঙ্কে বন্ধ হয়ে যায় রাজ্যের সমস্ত স্কুল। কবে স্কুল খুলবে তা নিয়ে দোলাচল ছিল। পরে যদিও সেই দোলাচল কাটিয়ে আংশিকভাবে খোলা হয় স্কুল। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত স্কুল চলছিল রাজ্যে। কিন্তু, এবার বেলাগাম করোনা পরিস্থিতিতে ফের একবার স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই এগিয়ে আনা হল গরমের ছুটি। যদিও সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে গরমের ছুটি বলেই উল্লেখ করা হচ্ছে।

    শিক্ষক মহলের একাংশের মতে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে গরমের ছুটি দেওয়া হলেও, কবে পর্যন্ত ছুটি চলবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি এই বিজ্ঞপ্তিতে।