স্কুল ডাকছে অভিযান কর্মসূচি পালন করল আই.সি.আর হাই মাদ্রাসা(উ.মা.)

রহমতুল্লাহ,মুর্শিদাবাদ : গত ১৬ই নভেম্বর থেকে করোনা বিধি মেনে স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে ৷কিন্তু শিক্ষার্থীদের হাজিরা খুব কম ৷ তাই মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রী আনতে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তররের পক্ষ থেকে ‘মাতৃসভা’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে ৷ আবার সরকারের তরফ থেকে সার্বিকভাবে ‘স্কুল ডাকছে’ অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে ! সকল শিক্ষার্থীদের আঁধার থেকে শিক্ষার আলোয় ফেরানোর সামাজিক উদ্যোগ ‘স্কুল ডাকছে’ অভিযান কর্মসূচি ! আজকে ‘স্কুল ডাকছে’ অভিযানে সফল ভাবে অংশগ্রহণ করলো মুর্শিদাবাদের লালগোলা ব্লকের অন্তর্গত আই.সি.আর হাই মাদ্রাসার সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীবৃন্দ ৷আজ মাদ্রাসা সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতন করা হয় ৷ করোনা পরিস্থিতিতে অর্থ উপার্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই বিড়ি বাঁধা,রাজমিস্ত্রি,টোটো রিক্সা চালানো বা অন্যান্য কাজে যুক্ত হয়ে গেছে ! এই প্রসঙ্গে আই.সি.আর.হাই মাদ্রাসার শিক্ষকগণ অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে বলেন — এইসব ছেলে-মেয়েদের অর্থ উপার্জন সাময়িকভাবে আপনাদের ভালো লাগতে পারে কিন্তু জীবনব্যাপী ভালো থাকার জন্য সচেতনতা ও সুশিক্ষাই আমাদের একমাত্র সম্বল ; যা আগামীতে উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে দেবে ৷ এলাকার অভিভাবকগণ ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন ৷ ‘স্কুল ডাকছে’ অভিযান কর্মসূচি প্রসঙ্গে আই.সি.আর হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রউফ সিদ্দিকী বলেন–মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে আমার সকল স্টাফদের নিয়ে বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি !অভিভাবক সভা, পথসভা, মসজিদের মাইকে ঘোষণা, মোবাইল ফোনের মারফতে অভিভাবকদের সজাগ করা ইত্যাদি ৷ফলে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের হাজিরা ধীরে ধীরে বাড়ছে ৷ আমি আশাবাদী সময়ের সাথে সাথে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে ! চমকপুর জামে মসজিদের ইমাম আব্দুর রাকিব বলেন– কুরআন মাজিদের প্রথম শব্দ ‘ইকরা’ যার অর্থ ‘পড়ো’ ৷ সমাজ থেকে অন্ধকার দূর করতে সুশিক্ষাই একমাত্র হাতিয়ার ৷বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরামের অন্যতম সদস্য মহঃ মোসাররাফ হোসেন বলেন–শিক্ষকতা একটি ব্রত!করোনাকালে স্কুল ও মাদ্রাসায় যে শিক্ষার্থী শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে , তাকে পূর্ণতা দিতে আমাদের শিক্ষক সমাজকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে ৷পঠন-পাঠন বন্ধ থাকায় অনেক ছাত্র বাইরে কাজে চলে গেয়েছিল ,তাদেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেছিলাম,অনেকেই ফিরে এসেছে মাদ্রাসায় ! সহকারী শিক্ষক জিয়াউল করিম ‘মাদ্রাসা চালাকালীন প্রাইভেট টিউটরদের টিউশন পড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন !’