|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: স্কুল খুলতেই মুখে হাসি মৎশিল্পীদের শুক্রবার থেকে জেলার সব স্কুল খুলে গেছে। মুখে হাসি মৃৎশিল্পীদের। স্কুলগুলিতে সরস্বতী পুজো হবে। আর স্কুলগুলি প্রতিমা কিনতে আসবে তাঁদের কাছে। সরস্বতী পুজোয় স্কুলগুলির ওপর নির্ভর করে থাকতে হয় তাঁদের। এবার করোনা আবহে অন্যান্য জীবিকার মানুষের সঙ্গে দুর্বিসহ অবস্থা মৃৎশিল্পীদেরও। আশা করেছিলন দুর্গাপুজোয় সেই অভাব পূরণ করবেন তাঁরা। কিন্তু দুর্গা পুজোর সমসও ছিল করোনা আতঙ্ক। ফলে রেডিমেড প্রতিমা তৈরি করেও কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে শিল্পীদের অনেককে। কালীপুজোতেও তেমন কোনও পয়সার মুখ দেখতে পান নি। আশা করেছিলেন সরস্বতী পুজো একটু দেরিতে রয়েছে। ততদিনে করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে ওঠা যাবে। কিন্তু এখনও করোনা আতঙ্ক রয়েছে। কিন্তু আশার বলতে শুক্রবার থেকে স্কুলগুলি খুলে গেছে। ফলে আশার আলো দেখছেন মৃৎশিল্পীরা। হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডী অঞ্চলের কুমোরপাড়ায় চলছে জোর কদমে সরস্বতী প্রতিমার কাজ। এখন চলছে শেষ তুলির টান। শিল্পীরা ব্যস্ত বাগদেবীর চিন্ময়ী রূপ ফুটিয়ে তুলতে। এদিন প্রায় আট মাস পরে স্কুল খুলতেই হাসি ফুটেছে তাঁদের মধ্যে। বুলবুলচন্ডী হাসপাতাল মোড়ে কারখানা শিল্পী উত্তমকুমার পালেল। এবার ৯৫টি প্রতিমা তৈরি করছেন। কিছুটা বিক্রি হয়েছে। যদিও স্কুল থেকে কেউ যোগাযোগ করে নি এখনও। তিনি বলেন, ‘স্কুলগুলি আজ থেকে খুললো। এখনও স্কুল থেকে কোনও অর্ডার আসে নি। কোনও শিল্পীর কাছেই হয়ত আসে নি বলে আমার ধারণা। এখনও হাতে ৪ দিন রয়েছে। দেখা যাক, হয়ত বিক্রি হয়ে যেতে পারে। এখনও ৪৫টি প্রতিমা বিক্রি হতে বাকি রয়েছে।’