“ব্যক্তিগত ইন্টারেস্টে এর বাম আমলে বরাত দেওয়া হয়েছিল, তাদের পাপের ফল আমরা ভোগ করছি” বামেদের কটাক্ষ ফিরহাদ হাকিমের

নিজস্ব সংবাদদাতা : বাম আমলের প্রোমোটার কেন বা দেওয়া হল কেনই বা ছেড়ে দিলেন তিনি আমাদের যা পাওয়ার কথা তা পাই

    ১) ডেঙ্গিটা বাড়ছে। বৃষ্টি হচ্ছে। বর্ণপরিচয় মার্কেটে একটু সমস্যা রয়েছে। বেসমেন্টে জল জমছে আমরা বার করছি আবার জমে যাচ্ছে।

    ব্যক্তিগত ইন্টারেস্টে এর বাম আমলে বরাত দেওয়া হয়েছিল। তাদের পাপের ফল আমরা ভোগ করছি।

    আমরা চেষ্টা করছি যেখানেই পাওয়া যাচ্ছে সেখানে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে অতীন ঘোষ দেখছেন।

    মেডিকেল কলেজের সুপার হোক বা পূর্ত দপ্তর হোক সবাইকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

    দু সপ্তাহের মধ্যে ১১০০ মতো ডেঙ্গি আক্রান্ত বেড়েছে।

     

    ২) প্রচারে মানুষ সাড়া দিচ্ছেন। অনেকে দিচ্ছেন‌ না। কিন্তু একটা বাড়িতেই মশার লার্ভা। সেখান থেকেই মশা দিয়ে কামড়াচ্ছে ডেঙ্গি হচ্ছে।

    ৩) কেন্দ্রীয় সরকারের অনিহা। যেদিন রেলের জিএম এর বাড়িতে কাউকে কামড়াবে মশা কামড়াবে সেই দিন বুঝতে পারবে। কি করব? বারবার বলেও কাজ হচ্ছে না।

    ৪) হকার সমস্যা।

    নিউ মেনে হকার বসানোর জন্য ৫০ ফুট ছড়িয়ে বসানো। বারবার পুলিশকে বলা হয়েছে।

     

    ৫) নাইট পার্কিং

    পুজোর জন্য বন্ধ নয়, তবে অনলাইন আবেদন করতে হবে।

     

    ৬) অধিবেশনে মারামারি।

    বাম কংগ্রেস যদি এই অসভ্যতার জন্য বিজেপিকে সমর্থন করতে যায় করুক না। আমরা তো ওদের বিরুদ্ধে লড়েছি বাম কংগ্রেস বিজেপি মিলেও দশটার বেশি হতে পারেনি।

    জনগণের কাছে আমরা যাব। ওরা ডেপুটেশন দিক।

    আমি তো বিরোধীদের কাছে প্রশ্ন চেয়েছিলাম সেই ইস্যুতেই তো ঝামেলাটা হয়েছিল। পুরসভার অধিবেশনে ডেঙ্গি কেন বাড়ছে লাইট নেই কেন প্রশ্নটিই আমার সমালোচনা করুক।

     

    ৭) জেলায় ডেঙ্গি।

    ছোট ছোট টাউনশিপ তৈরি হয়েছে আর তার ফলে জেলায় জেলায় ডেঙ্গির প্রবণতা বাড়ছে।

     

    ৮) বিকাশ ভট্টাচার্যের বাড়িতে জল।

    কলকাতা পৌরসভার যখন তিনি ছিলেন তখন থেকেই ওখানে এই সমস্যা। নিচু জায়গা। দু এক বছরের মধ্যেই কিইআইআইপির প্রজেক্টে একটি নিকাশের কাজ হবে। এর ফলে ওই এলাকার জল জমার সমস্যা হবে না।

     

    ৯) সংসদে বিদুরাই র বক্তব্য।

     

    ভারতবর্ষের সংস্কৃতি টাকে নষ্ট করছে বিজেপি। ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক হচ্ছে আমাদের বাংলা। এই জন্য বিজেপি এখানে সুবিধা করতে পারেনি। এখন দেখি নরেন্দ্র মোদী সাহেব কি ব্যবস্থা নেন উনার বিরুদ্ধে।

     

    ১০) পুর নিয়োগ দুর্নীতি।

     

    প্রভাবশালী। আসলে একটা মজাদার বিষয় হয়ে গেছে।

    মানুষের কাজ করলে মানুষের ভোট পেলে সেই কি প্রভাবশালী হয়ে যায়??

     

    ১১) মনিশ কোঠারি জামিন।

     

    কে মনিশ কোঠারি আমি জানিনা, দিল্লির আদালত নিয়ে আমি খোঁজখবর রাখিনা।

     

    ১২) অভিষেকের মন্তব্য আদালত এর।

     

    তদন্তের শেষে দেখবেন আসলে কিছু নেই সবটাই কাগুজে বাঘ। কাগজওয়ালা ছেপে দিচ্ছে সম্মান নষ্ট হচ্ছে।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভাবশালী এসব নিয়ে আসলে একটা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে করা হচ্ছে আসলে কিছু নয়।

    কেউ অন্যায় করিনি একটা প্রিটেন্ড করে নেওয়া তৃণমূল মানেই করেছে।

    রাজীব গান্ধী কেও সিপিএম চোর বানিয়েছিল। মৃত্যুর পর বিচার হয়েছে অন্যায় হয়েছিল এখন অভিষেকের বিরুদ্ধেও এটা করা হচ্ছে। ব্যক্তি কুৎসা আর এর প্রভাব নির্বাচনে কিছু পড়বে না কারণ মানুষ জানে।

     

    ১৩) লোকসভা নির্বাচনে প্রভাব।

    কোন প্রভাব পড়বে না আমরাই সব আসনে জিতবো। পাউডার লাগিয়ে টিভিতে বসলে ভোট পাওয়া যায় না। সাধারণ মানুষকে আমরাই পরিষেবা দিচ্ছি।

     

    ১৪) ওবিসি নরেন্দ্র মোদি।

    এর একটা বিভেদ তৈরি করতে চাইছে। মূল পরিচয় হওয়া উচিত তাই ভারতীয়। এর আগে চা ওয়ালা এখন ওবিসি। এসব চমক ছাড়া কিছু নয়। আমি কোনদিন আমার কাস্ট দেখিয়ে ভোট চাই না।