|
---|
কলকাতা: করোনা আবহে বন্ধ স্কুল-কলেজ। কিন্তু অধ্যাপক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত নয়। আগের সিদ্ধান্ত মতো রবিবারই পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানাল কলেজ সার্ভিস কমিশন। এ বারে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৮৩ হাজার। কিন্তু সংক্রমণ যখন হু হু করে বেড়ে চলেছে, সেই সময় পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
পরীক্ষা পিছনোর দাবিতে এক দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি দিয়েছিল সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।তার মধ্যেই কলেজ সার্ভিস কমিশন পরীক্ষার দিন ঘোষণা করে দিল।
করোনার দুই ঢেউ কাটিয়ে আগামী ৯ জানুয়ারি অর্থাৎ রবিবার সেট পরীক্ষা হবে বলে আগেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বড়দিন এবং বর্ষবরণের পর থেকে যে ভাবে উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে সংক্রমণ, তাতে অন্তত আংশিক বিধিনিষেধ থাকা পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত রাখার দাবি উঠছিল। যে ভাবে পুলিশ এবং শিক্ষাকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাতে ১৫ জানুয়ারির পর পরীক্ষার দিন ঠিক করার সুপারিশ করছিলেন অনেকেই, যাতে পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায়।
উল্লেখ্য, করোনাকালে, গত দু’বছর সেট পরীক্ষা হয়নি। মাঝে পরিস্থিতি শোধরানোয় এ বছর পরীক্ষা হবে বলে আশাবাদী ছিলেন পরীক্ষার্থী। কিন্তু গত দু’বছর পরীক্ষা না হওয়ায়, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে ৮৩ হাজার হয়েছে এত সংখ্যক পরীক্ষার্থীর নিরাপত্তার দিকটি ভাবাচ্ছে শিক্ষামহলকে।
শিক্ষা দফতর যদিও জানিয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে যত্ন সহকারে জীবাণুমুক্ত করা হবে। সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনেই বসার ব্যবস্থা করা হবে পরীক্ষার্থীদের। একই সঙ্গে বাড়ি থেকে দূরে গিয়ে যাতে পরীক্ষা দিতে না হয় পরীক্ষার্থীদের, তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।