SFI-এর টেলি মেডিসিন পরিষেবা করোনা রোগীদের জন্য

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: রেড ভলান্টিয়ার্সের পর এবার টেলি-মিডিসিন। এবার এক ফোনেই মিলবে ডাক্তারি পরামর্শ থেকে চিকিৎসা পরিষেবা। করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় এমনই উদ্যোগ নিল বামফ্রণ্টের ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (SFI)। চালু করল টেলি-মেডিসিন পরিষেবা।

    সারা দেশের পাশাপাশি বর্তমানে রাজ্যেও লাগামছাড়া হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর সংক্রমণের নিরিখে রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। এই পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্তদের বাড়িতেই চিকিৎসা পরিষেবা দিতে টেলি-মেডিসিন পরিষেবা চালু করল বামফ্রণ্টের ছাত্র সংগঠন। মূলত হাসপাতালে ভিড় এড়াতে এবং করোনা রোগীদের বাড়িতেই চিকিৎসা পরিষেবা দিতে এই পদক্ষেপ বলে জানালেন SFI-এর কলকাতা মেডিক্যাল লোকাল কমিটির সম্পাদক পল। তিনি বলেন, ‘এবারে বড় ক্ষতি আটকাতে আমরা টেলি-মেডিসিন পরিষেবা চালু করলাম। প্যারামেডিক্যাল কর্মী থেকে প্রশিক্ষণরত মেডিক্যাল কর্মীদেরও এই পরিষেবার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। যাতে আমরা বৃহৎ সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছতে পারি। এই সকলকে নিয়ে সাপ্তাহিক রোস্টার প্রস্তুত করা হচ্ছে। এটির মাধ্যমে আমরা আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করব।’

    প্যারামেডিক্যাল ও প্রশিক্ষণরত মেডিক্যাল কর্মীরা সকলেই স্বাস্থ্য পরিষেবায় নিয়োজিত এবং বর্তমান সময়ে খুবই ব্যস্ত। তাই সকলকে সবসময় টেলি-মেডিসিন পরিষেবায় না-ও পাওয়া যেতে পারে। সেজন্য কলকাতা মেডিক্যাল লোকাল কমিটির টেলি-মেডিসিন পরিষেবায় অন্তর্ভুক্ত প্যারামেডিক্যাল ও প্রশিক্ষণরত মেডিক্যাল কর্মীদের সকলকে নিয়ে একটি রোস্টার তৈরি করা হচ্ছে। যাতে প্রয়োজনে কোনও অসুবিধায় পড়তে না হয়। প্যারামেডিক্যাল ও প্রশিক্ষণরত মেডিক্যাল কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্পেশ্যালিস্ট বহু চিকিৎসকও বামফ্রণ্টের ছাত্র সংগঠন পরিচালিত টেলি-মেডিসিন পরিষেবায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এঁদের জন্যও আলাদা একটি রোস্টার তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, SFI-এর কলকাতা মেডিক্যাল লোকাল কমিটির টেলি-মেডিসিন পরিষেবায় এখনও পর্যন্ত মোট ২৫ জন চিকিৎসক অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে জেনারেল ফিজিসিয়ান ছাড়াও শিশু বিশেষজ্ঞ, গায়নোকোলজিস্ট সহ বিভিন্ন বিভাগের দক্ষ চিকিৎসকরা রয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে রেড ভলান্টিয়ার্স হিসাবে কাজ করেছিল SFI-এর কলকাতা মেডিক্যাল লোকাল কমিটিও। কেবল একটি ফোন করলেই করোনা আক্রান্ত ও তাঁদের পরিবারকে খাবার দেওয়া থেকে শুরু করে মুমূর্ষু রোগীদের অক্সিজেন, ওষুধ সরবরাহ, এমনকি প্রয়োজনে সংক্রমিত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করারও ব্যবস্থা করতেন এই কমিটির রেড ভলান্টিয়ার্সের সদস্যরাও। এবার করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের প্রবণতা অত্যধিক হলেও রোগের গুরুতর প্রভাব অনেকটাই কম। ফলে হাসপাতালে রোগী ভর্তি হওয়ার হারও নিম্নমুখী। কো-মর্বিডিটি না থাকলে বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললেই রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। তাই এবার হাসপাতালে বা ডাক্তারদের চেম্বারে ভিড় এড়াতে এবং করোনা রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতেই টেলি-মেডিসিন পরিষেবা চালু করল বামফ্রণ্টের ছাত্র সংগঠন।