শাহীনা আত্তারওয়ালার বস্তিতে থেকে মাইক্রোসফটের ম্যানেজারের পথ চলা

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বামন হয়ে চাঁদ ধরা চায় না এটিই ঠিকই। কিন্তু এই পৃথিবীতে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় সবসময়ই। মন থেকে কেউ কিছু করতে চাইলে তা করে ফেলাই যায় এমন উদাহরণও পাওয়া যায়। এবার এমন এক মহিলার জীবন সংগ্রাম পড়ে দেখব যিনি শুধু অনুপ্রাণিত করেন না, তাঁর সংগ্রাম এবং দৃঢ়তা সকলের মনেই এক ইতিবাচক দিককে জাগিয়ে তোলে।

    মাইক্রোসফটের একজন প্রোডাক্ট ডিজাইন ম্যানেজার শাহীনা আত্তারওয়ালা জানিয়েছেন একটি বস্তিতে তাঁর বেড়ে ওঠার অভিজ্ঞতা। অনলাইনে ভাইরাল হওয়া একটি টুইটার থ্রেডে কীভাবে এটি তার জীবনকে রূপ দিয়েছিল সে সম্পর্কে কথা বলেছেন তিনি। টুইটারে তিনি বলেন, “নেটফ্লিক্স সিরিজে তার পুরানো বাড়ি দেখার পরে মাইক্রোসফ্ট কর্মচারীকে সময়মতো ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। নেটফ্লিক্স সিরিজ ‘ব্যাড বয় বিলিয়নেয়ারস: ইন্ডিয়া’ তে মুম্বইয়ের একটি বস্তি দেখানো হয়। যেখানে আমি বড় হয়েছি। টোতে যে বাড়িগুলি দেখতে পাচ্ছেন তার মধ্যে একটি আমাদের। সেই সময় জীবন খুব কঠিন ছিল। জীবনযাপনের পরিস্থিতি, লিঙ্গ পক্ষপাত এবং যৌন হয়রানির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সেখান থেকেই আমি জীবনে বড় হওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।”

    জানা যায়, শাহীনা বান্দ্রা রেলস্টেশনের কাছে দরগা গালি বস্তিতে থাকতেন। তার বাবা তেলের ফেরিওয়ালা ছিলেন যিনি উত্তর প্রদেশ থেকে মুম্বইতে চলে আসেন। শাহীনা তার বাবাকে টাকা ধার করতে রাজি করায় যাতে সে স্থানীয় কম্পিউটার ক্লাসে ভর্তি হতে পারে। এরপর তাঁর নিজের কম্পিউটার কেনার জন্য, সে দুপুরের খাবার না খেয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতেন। সেই টাকা বাঁচিয়ে রাখতেন তিনি।

    শাহীনা বলেন, আমার বাবা একজন ফেরিওয়ালা ছিলেন। রাস্তায় ঘুমাতাম ঠিকই কিন্তু স্বপ্ন দেখতে ছাড়িনি। ভাগ্য, কঠোর পরিশ্রম এবং লড়াই করে গিয়েছি সবসময়। ২০২১ সালে আমার পরিবার একটি ফ্ল্যাট কিনেছে। যেখানের ব্যালকনি থেকে আকাশ দেখা যায়। জীবনে কিছু অর্জনের জন্য নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করা উচিত। কোনও না কোন দিন সেটাই গেম চেঞ্জার হয়ে যাবে জীবনে।

    ইতিমধ্যেই শাহীনার এই টুইটে লাইক পড়েছে কয়েক হাজার, হাজার। ভাইরাল হয়েছে ভিডিও। কুর্নিশ জানিয়ে মন্তব্য করেছেন একাধিক।