|
---|
লুতুব আলি, বর্ধমান, নতুন গতি : শান্তিনিকেতনের আদলে বর্ধমানের বিদ্যালয়ে কবি গুরুর প্রয়াণ দিবস। পরিসরের ছোট্ট হলেও বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে কাঞ্চন নগর দিনদাস উচ্চ বিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মহাপ্রয়াণ দিবসে শান্তিনিকেতনী ছায়া পরিলক্ষিত হল। বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে প্রকৃতির উন্মুক্ত মঞ্চে কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসের প্রাঞ্জল অনুষ্ঠান সকলকে স্পর্শ করেছে। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা কবিগুরুর রচনায় শ্রদ্ধা নিবেদন করে। ঈপ্সিতা আর অমৃতার নৃত্য, সোহিনী আর সোনালীর গান শ্রাবণের অকৃত্রিম ঘন আবেশ তৈরি করে দেয়। বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক তথা বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত রবীন্দ্রনাথের মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে আজকের প্রেক্ষিতে অভিনিবেশ সহকারে অনুধাবন এবং যথাযথ প্রয়োগের কথা বলেন। রবীন্দ্রনাথ আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে আজ ও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষক কেশবনাথ সাধু বলেন, মৃত্যুঞ্জয়ী কোভিদ শাশ্বত রচনা আমাদের চিরপথের সাথী হয়ে থাকবে। ১৯৪০ সালে শান্তিনিকেতনে আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ষামঙ্গল অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বৃক্ষরোপণ শুরু হয়। এই ভাবনাকে রূপ দিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডক্টর সুভাষচন্দ্র দত্ত তাঁর বিদ্যালয় যেকোনো অনুষ্ঠানে বৃক্ষরোপনের কর্মসূচি রাখেন। এদিন কবি স্মরণে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে সাড়ম্বরে বৃক্ষরোপণ করা হয়। নবীন বৃক্ষ বহন করে আনে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রন্তু মিত্র। এই অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপক শিক্ষক কমল সাহা জানান, শিক্ষা আদান প্রদানের বৃক্ষের সদর্থক ভূমিকা আছে। যথেষ্ট অক্সিজেন মস্তিষ্ককে পুস্ট করে। বৃক্ষের প্রকৃতির ঋতু পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়ে ছোটদের উপলব্ধিকে ঋদ্ধ করে। বৃক্ষের আশ্রিত বহু কীটপতঙ্গ পশু পাখির জীবন চক্রের অবিরাম প্রাণ প্রবাহের বইয়ের বাইরে থেকে প্রত্যক্ষভাবে জীববিদ্যা শিক্ষতে অনুপ্রেরণা দেয়। শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে …. রবীন্দ্রনাথের এই চিরন্তন গান গেয়ে শিক্ষিকা সুনিতা সাহা প্রশংসিত হন। এই গানের মধ্য দিয়েই এদিনের অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।