|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: ঢাল তলোয়ার ছাড়াই নিধিরাম সর্দারা, করোনা আক্রান্ত পরিবারের সেবায়কুশল,পাপন,ইন্দ্রাশিষ,নীল,সৌমেন রা পড়াশোনা শেষ করে মানুষের পাশে থাকার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে গত দু’বছর আগে তৈরি করেছিলো “শান্তিপুর সংকল্প” ।পথের পাশে বিভিন্ন মুনিঋষি, দেশবরেণ্যদের নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের যাবতীয় দায়িত্ব কাদের! সে কথা না ভেবেই সামাজিক দায়িত্বপূরণে নিজেরাই আবেগবশত করে থাকে এ ধরনের কাজ । গতবছর লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর সর্বস্বান্ত হয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার সময় মুখের খাবার তুলে দিয়েছিলো এঁরাই। এবারেও মা-বাবার দেওয়া হাত খরচা বাঁচিয়ে, পড়ার বিত্তশালীদের কাছ থেকে চেয়ে চিনতে খাবার জোগাড় করে পৌঁছে যায়, করোনা আক্রান্তের বাড়ি। দরজার সামনে, পানীয় জলের ঢপ, কাঁচা আনাজ, শুকনো খাদ্যদ্রব্য সবটাই দরজার সামনে পৌঁছে দিয়ে আসে তারা। সংগঠনের পক্ষ থেকে কুশল প্রামানিক জানায়, “সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা আর্তনাদ দেখে , ইনবক্সে যোগাযোগ করি তারপর প্রয়োজনভিত্তিক জিনিস সকলের সাহায্য করা অর্থে কিনে দিয়ে আসি, অনেক সময় ঔষুধ, বা বাড়ির অন্য কাজকর্ম দূর থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি যতটুকু সামর্থ্য ! ফোনে গল্প করি , সাহস যোগানোর চেষ্টা করি।”
পাঁচিলের ওপার থেকে ভেসে আসা শব্দে জানা যায়, করণা আক্রান্ত হওয়ার পর, সদ্য ভোট দেওয়া নেতা, বা কিছুদিন আগে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করানো স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কেউ কি খোঁজ নেয়নি, এঁরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ করে সাক্ষাৎ ভগবান হিসেবে দাঁড়িয়েছে আমাদের পাশে।
এসময় পাশে থাকার উপযুক্ত পিপিই কীট্, মাস্ক গ্লাভস স্যানিটাইজার প্রয়োজনমতো যোগান পাচ্ছে তারা? খোঁজ নেওয়ার লোকের বড়,ই অভাব, তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের বেগে লাইক শেয়ার কমেন্ট পড়ার তুলনায় প্রকৃত পাশে থাকা সংখ্যা যে খুব কম তা বুঝে গেছে ঢাল তরোয়াল ছাড়া নিধিরাম সর্দারেরা। তবুও হাল ছাড়তে তারা নারাজ! কারণ তাদের বয়স প্রত্যেকেরই 18 আশেপাশে।