আর্থিক প্রতিকূলতা কে জয় করে নিটে চোখ ধাঁধানো সাফল্য মুর্শিদাবাদের শরীয়তুল্লা মোমিন

নিজস্ব সংবাদদাতা : ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় তার প্রমাণ মুর্শিদাবাদের নগরের বাসিন্দা শরীয়তুল্লা মোমিন। পাহাড় সমান দারিদ্র্যকে সাথে নিয়েই একচিলতে কুঁড়ে ঘরে বাস মোমিনের। বাবা আগে মশারির ফেরি করে বেড়াতেন। তবে বয়স জনিত কারণে এখন বাবা ও মা বাড়িতেই মশারী তৈরি করেন। এই টানাটানির সংসারে আর্থিক প্রতিকূলতা কে জয় করে বরাবরই ভালো রেজাল্ট করে এসেছে সে। এ বছর নিট পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৬১৫, অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক ১৪৫৪৭। জেলার খড়গ্রাম ব্লকের নগর মোমিন পাড়ার বাসিন্দা বাবা আয়েশ মোমিন, মা শরনী বিবির সন্তান শরীয়তুল্লা মোমিনের দশম শ্রেণির ফলও ছিল চোখ ধাঁধানো।দশম শ্রেণী পর্যন্ত তার পড়াশোনা ছিল নগর এ এম উচ্চ বিদ্যালয়ে। মাধ্যমিক পাশ করে ভর্তি হয় হাওড়ার আল আমিন মিশনে। এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ৮৩.৪ শতাংশ। ওখান থেকেই কোচিং নিয়ে এবছর NEET (ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট) পরীক্ষায় সফল হয়েছে এই কৃতী।ভবিষ্যতে কার্ডিওলজিষ্ট হতে চায় সে। তার বাড়ি গিয়ে ইতি মধ্যেই সম্বর্ধনা জানিয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি আশিষ মার্জিত।পাশাপাশি আগামী দিনে পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তার এই সাফল্যে গর্বিত গোটা গ্রাম সহ মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষ।আগামী দিনে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চায় শরীয়তুল্লা মোমিন। বাবা ও মা এখনও মশারী সেলাই করে গেলেও তাঁরাও স্বপ্ন দেখছেন ছেলে সফল চিকিৎসক হবেন। একদিন খড়গ্রামের নগরের নাম উজ্জ্বল করবেন।