|
---|
আজিজুর রহমান,গলসি : শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলে ফের উতপ্ত হল পূর্ব বর্ধমানের গলসি। সোমবার গলসি ১ নম্বর ব্লকের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের জাগুলিপাড়া গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষে এক ক্লাব সদস্যর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মারামারিতে দু’পক্ষের মোট পাঁচজন আহত হয় বলে জানা গেছে। ঘটনায় আহতরা সকলেই জাগুলিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। জানতে পারা গিয়েছে, ওই গ্রামে বরাবর মহম্মদ মোল্লা ও সেখ আবুবক্কর এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ রয়েছে। বর্তমানে দু’জনই গলসি ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জনার্দ্দন চ্যাটার্জ্জী অনুগামী বলেই পরিচিতি। কিছুদিন ধরে গ্রামের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। রবিবার গ্রামের ক্লাবের সদস্যদের উদ্দ্যোগে চাঁদা তোলা ও হুমকি দেওয়াকে কেন্দ্র করে গ্রামে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এর মধ্যে এক গোষ্ঠীর লোকেরা অন্য গোষ্ঠীর লোকেদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় মাথায় আঘাত লাগে গ্রামের এক ক্লাব সদস্যর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহতদের স্থানীয় পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করানো হয়। এদিনের মারামারির ঘটনায় বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য জয়দীপ চ্যাটার্জী বলেন, এখানে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তোলাবাজি নিয়ে অশান্তি। ক্লাব বলে চালানো হচ্ছে। মারামারিতে জখম সেখ সাবির আহমেদ বলেন, গ্রামের একটি ছেলে ব্যাঙ্গালোরে ভর্তি আছে, তার চিকিৎসা চলছে। সেই জন্য আমরা গ্রামে তার চিকিৎসার জন্য চাঁদা তুলতে যায় রবিবার বিকেলে। কিন্তু আবুবক্কর চাঁদা তুলতে বাধা দেয়। সোমবার সকালে সেখ সোয়েল নামে আমাদের ক্লাবের এক সদস্যকে মারধর করা হচ্ছে জানতে পারি। সেখানে গেলে আমার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনায় তার মাথায় আট টি সেলাই পরেছে বলে তিনি দাবি করেন। অন্যদিকে গ্রামের আর এক তৃণমূল নেতা আবুবক্করের অভিযোগ, গ্রামেরই মহম্মদ মোল্লার নেতৃত্বে কিছু ছেলে টোন টিটকিরি করে গ্রামে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছিল কয়েকদিন ধরেই। এই নিয়ে রবিবার গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা তাদের বলেন, গ্রামে অশান্তি করা যাবে না। সোমবার এই নিয়ে আবার অশান্তি শুরু হয়। এরপরই বচস থেকে ঠেলাঠেলি হয়। এর মধ্যে রাস্তায় একটি সাইকেলের উপরে পরে গিয়ে মাথা কেটেছে একজনের। তিনি জানান, মহম্মদ মোল্লা তৃণমূল কংগ্রেস করেন। পাশাপাশি তিনিও তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত আছেন ১৯৯৮ সাল থেকে। তবে মহম্মদ মোল্লার ছেলে পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রহমত মোল্লা গোষ্ঠী দন্দের কথা অস্মিকার করে বলেন, ক্লাবের এক সদস্যর চিকিৎসার জন্য চাঁদা তোলা হচ্ছিল। তখনই দুস্কৃতীরা মারধর করেছে ক্লাবের সদস্যদের। এখানে রাজনীতির কোন যোগ নেই।