দোকানের নাম দিয়েছেন শিল্পশ্রী!

নিজস্ব সংবাদদাতা: এখনও চালু হয়নি সরকারি পেনশন। তাই খুলে ফেলেছেন চায়ের দোকান আর সেই দোকানের নাম দিয়েছেন শিল্পশ্রী। বাঁকুড়া রামপুরের বাসিন্দা শিবশঙ্কর মন্ডলের জীবনযাপন করতে এই উদ্যোগ। বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে জুনবেদিয়া বাইপাস মোড়ে “শিল্পশ্রী” নামকরণ করে একটি চা দোকান করেছেন শিবশঙ্কর বাবু।

    শিবশঙ্কর বাবু ছিলেন বাঁকুড়ায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনশিক্ষা প্রসার দপ্তরের গ্রুপ সি স্তরের একজন কর্মী। তিনি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন একটি স্কুলে হাতের কাজ শেখাতেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি অবসর নেন। কিন্তু এখনও সরকারিভাবে পেনশন চালু হয়নি এমনটাই অভিযোগ শিবশঙ্কর বাবুর। পেনশন চালু করার জন্য সরকারি বিভিন্ন দফতরে তিনি পাঠিয়েছেন একাধিক চিঠি। তবে কাজ হয়নি এখনও। প্রায় ৮ মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনও তিনি তার প্রাপ্য সরকারি পেনশন পাননি।যার জেরে চরম সমস্যায় পড়েছে গোটা পরিবার। দীর্ঘদিনের সঞ্চয় ভেঙে সংসার চালাচ্ছিলেন, কিন্তু আয়ের উৎস না থাকলে একদিন অচল হয়ে পড়বে গোটা পরিবার। বাড়িতে রয়েছেন অসুস্থ স্ত্রী, এক ছেলে এবং এক মেয়ে। ছেলে দশম শ্রেণি এবং মেয়ে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। তার ওপর নির্ভর করে রয়েছে গোটা পরিবার তাই আয়ের উৎস জোগাতে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় চায়ের দোকান খুলেছেন বলে জানান বছর ৬২ এর এই বৃদ্ধ।বাঁকুড়া শহরের জুনবেদিয়া বাইপাসের ধারে শিল্পশ্রী নামকরণের এই চা দোকান দেখে অনেকেই কৌতুহলের সঙ্গে আসছেন চা দোকানে। জানতে চাইছেন কেনই বা তিনি এই চা দোকানের নাম রেখেছেন শিল্পশ্রী। তবে চা দোকানদার শিবশঙ্কর মণ্ডলের বক্তব্য, ‘টাকার অভাবে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চপ-শিল্পের কথা বলেছিলেন। চপ ভাজতে পারি না। তাই বিকল্প হিসাবে চায়ের দোকান খুলেছি।