বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়!

বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা :
একদা জাতীয় কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন । পরবর্তীতে তে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সৈনিকও ছিলেন। আজ ও তিনি প্রমাণ করেছেন। লোভ লালসা কে বিসর্জন দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এক নজির স্থাপন করলেন। আজ ও তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী থাকার পরেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য তিনি তার বিধায়ক পদ ইস্তফা দিলেন। সচরাচর এমন মানুষ দেখা মেলা ভার । যেখানে একের পর এক বিধায়ক, সাংসদরা ঘোড়া কেনাবেচায় -আর সে ক্ষেত্রে এক বিরল দৃষ্টান্ত শোভন বাবুর। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী হওয়ার পরেও তিনি বিধায়ক পদ ইস্তফা দিলেন ।

    ১৯৯৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের বিরলতম নেতৃত্ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ই একমাত্র নেতৃত্ব যাঁর গায়ে এখনো ও পর্যন্ত কেউ কাদার দাগ লাগাতে সাহস পায়নি। নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতে সাংসাদ ও বিধায়করা একে একে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন । সে ক্ষেত্রে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নীতি আদর্শের প্রতীক হয়ে নির্দ্বিধায় বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস গঠনের মুহূর্তে যুক্ত হয়েছিলেন। সারা ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে তিনি এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন । তৃণমূল বিধায়ক হিসেবে উপনির্বাচনে ওনার জয় কিন্তু বাম জামানায় মোটেই নিশ্চিত ছিল না !
    তিনি সেদিন রাজনৈতিক নেতাদের বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, আদর্শ নিষ্ঠা সততাই রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার একমাত্র মন্ত্র । তাই তিনি অপারাজেয় ।

    আজ পদত্যাগ করছেন ভবানীপুরের তৃণমূল বিধায়ক মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।আনুগত্য ও ত্যাগের আদর্শ রক্ষার এক অনন্য নজীর গড়ায়, শোভনদেববাবু ইতিহাস তৈরী করলেন । ভবানীপুর থেকেই প্রতিদ্বন্দিতা করবেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

    বর্তমানে রাজনীতির নোংরা পাঁকে ও যে পদ্ম ফুটতে পারে , শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তার প্রকৃষ্ট নিদর্শন ।