কান্দীতে কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, বিজেপির পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগ

কান্দীতে কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, বিজেপির পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগ

     

     

     

     

     

    জৈদুল সেখ, কান্দী : রাজ্যে দু দফা ভোট হয়ে গিয়েছে। এখনও রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে আসছে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর। এবার কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে চলল গুলি। বিজেপি সমর্থকের দোকানেও হামলার ঘটনা।

     

    এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের কান্দি। রবিবার রাতে কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চলেছে বলে অভিযোগ। লক্ষ্য ভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান ওই কংগ্রেস কর্মী। এই ঘটনায় অভিযোগের তীর তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার অন্তর্গত লোহাপট্টি এলাকায়। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস কর্মী চঞ্চল বারিক দেওয়াল লিখনের কাজ খতিয়ে দেখার পর চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। সেই সময় আচমকা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসে মারধর শুরু করেন। এরপর তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে তারা। তাঁর দাবি, লক্ষ্য ভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। ঘটনায় কান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে কংগ্রেস নেতৃত্ব, থানায় গিয়ে বিক্ষোভও দেখান তারা।

     

    একই সঙ্গে কান্দি বাজারে আলুপট্টি এলাকায় এক বিজেপি সমর্থকের দোকানে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী ও বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব ও এসে বিক্ষোভ দেখায় কান্দি থানার সামনে।

     

    রাতেই থানায় যান, কান্দি বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সফিউল আলম খান। কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। কান্দির বিজেপি প্রার্থী গৌতম রায় জানিয়েছেন তাঁদের কর্মীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। রাতেই সেই খবর পেয়ে ছুটে যান তিনি। তাঁর দাবি দলমত অন্য হতেই পারে, তবে কান্দির সংস্কৃতি রক্ষা করাই আসল। পুলিশ দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

     

    বিধানসভার কংগ্রেস প্রার্থী সফিউল আলম খান ও বিজেপি প্রার্থী গৌতম রায়। দুই প্রার্থীই একযোগে তৃণমূলের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন। যদিও তাঁদের দলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কান্দি বিধানসভার তৃণমূলের প্রার্থী অপূর্ব সরকার।

     

    প্রসঙ্গত নির্বাচনে যে কোনও ধরনের অশান্তি এড়াতে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর পরিমানে বোমাও উদ্ধার হয়েছে। রবিবারই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের সুন্দর গ্রামে একটি কন্টেনার থেকে প্রায় ৫০ – ৬০টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বম্ব স্কোয়াড গিয়ে সেগুলিতে নিষ্ক্রিয় করে। তার আগে শুক্রবার জেলারই সুতি থানার অন্তর্গত চাঁদরা এলাকায় একটি আমবাগানে ২ কন্টেনার ভর্তি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। সবকটি ঘটনাতেই শুরু হয়েছে তদন্ত।