|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : শিক্ষা প্রসারে রামকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন বললেন বিমান বসু। বাম জমানায় অবিভক্ত বর্ধমানে শিক্ষা প্রসারে বিশেষভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রামকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রামকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মরণ সভায় এসে কথাগুলি বললেন রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। অতি সম্প্রতি তিনি ৮৬ বছর বয়সে পরলোক গমন করেন। বিমান বসু আর ও বলেন তার অকৃত্রিম আন্তরিকতার জন্য ৯০ এর দশকে দেশের মধ্যে অবিভক্ত বর্ধমান দ্বিতীয় স্বাক্ষর জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ৩ জুলাই মেমারি কৃষ্টি প্রেক্ষাগৃহে রামকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, রামকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বর্ণ ময় জীবনে অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হন। কৈশোর অবস্থাতেই তাঁর তার পিতার মৃত্যু হয়। আর্থিক অনটনের মধ্যেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি মাস্টার ডিগ্রি লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময়ই তিনি বাম রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত হয়ে পড়েন। এখানে ই মনোজ মিত্র, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, শ্যামল চক্রবর্তীদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠাতা হয়। ১৯৬২ সালে মেমারি বিদ্যাসাগর স্মৃতিবিদ্যা মন্দিরে শিক্ষকতার কাজে যোগদান করেন। ১৯৬৩ সালে স্মৃতি কণা মুখার্জির সঙ্গে রামকৃষ্ণ বাবু বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর
ও মহিলা ফ্রন্ট এর নেত্রী ও শিক্ষিকা ছিলেন। ১৯৬৫ সালে সালে পুরুলিয়ার বি. টি কলেজে অধ্যাপনার কাজে যুক্ত হন। চাকরি পাওয়ার আগে রামকৃষ্ণ বাবু মেমারির কলা নবগ্রামে বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী বিজয় কুমার ভট্টাচার্যের সংস্পর্শে আসেন। এখানে তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষা নিকেতনের কর্মী হিসেবেও বেশ কিছুদিন কাজ করেন। পরবর্তীকালে জামালপুর ব্লকের আঝাপুর হাই স্কুলে ১৯৬৭ সালে প্রধান শিক্ষকের পদে যোগদান করেন। বাম আন্দোলন করতে গিয়ে তাঁকে বহুবার আত্মগোপন করেও থাকতে হয়েছে। ১৯৭৮ সালে বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর বর্ধমান জেলা পরিষদের শিক্ষার কর্মাধ্যক্ষ ও বর্ধমান জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি হন। পরবর্তীকালে বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও হয়েছিলেন। এদিনের স্মরণ সভার আয়োজন করেছিল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহারানী কোনার, আভাস রায় চৌধুরী, সুকান্ত কোনার, অচিন্ত্য মল্লিক, অভিজিৎ কোনার প্রমুখ। এছাড়াও প্রয়াত রামকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারবর্গ।