|
---|
লুতুব আলি, বর্ধমান, ৯ মার্চ : পূর্ব বর্ধমান জেলার দক্ষিণ দামোদরের জামালপুর। এখানকার অধিকাংশ এলাকা গুলি এখনো প্রত্যন্ত হিসাবে পরিগণিত। বিশ্বায়নের প্রভাবে সবকিছুই এখন হাতের মুঠোয় হলেও জামালপুরের শিক্ষার্থীদের কাছে সরজমিনে ভ্রমণ তা একপ্রকার স্বপ্নের মতো। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছের মানুষ, কাজের মানুষ প্রিয় শিক্ষক অতনু হাজরা। গতানুগতিক শিক্ষাদানের পাশাপাশি ভ্রমণ মূলক শিক্ষা দানের প্রতি অতনু বাবু বরাবর গুরুত্ব আরোপ করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের সুপ্ত মনের বাসনা কে কার্যকরী করতে তিনি তাঁর প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে হাজির করলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মানসকন্যা শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতনে। সেখানে গিয়ে ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের শিল্পগ্রাম পূর্বাঞ্চলের রাজ্য গুলির সাংস্কৃতির সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচয় করান। শান্তিনিকেতনের সংগ্রহ শালায় গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যক্তিগত ব্যবহৃত জিনিস, নোবেলের রেপ্লিকা সহ নানান জিনিস দেখানো হয়। ছাতিমতলা, কলা ভবন, কোভিদ ব্যবহৃত গাড়ি, মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, উদয়ন শ্যামলী ছাত্র-ছাত্রীদের ঘুরিয়ে দেখানো হয়। এখানকার ঐতিহ্যবাহী সোনাঝুরি বা খোয়াইয়ের হাটে নিয়ে যাওয়া হয় ছাত্রছাত্রীদের। এখানে ছাত্রছাত্রীরা উন্মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে কেনাকাটিও করে। একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ শিক্ষামূলক ভ্রমণ পেয়ে ছাত্রছাত্রীরা ও সন্তোষ প্রকাশ করে। ভ্রমণের সহযোগিতা করেন শিক্ষক সনৎ কুমার হালদার। অতনু বাবুকে বোলপুরের স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা করেন শিক্ষক জসীম উদ্দিন মোল্লা। অতনু হাজরা এই প্রতিবেদককে আজও জানান, পূর্ব বর্ধমান জেলা ও সংলগ্ন জেলাগুলির আরো যে সমস্ত দর্শনীয় স্থান দেখানোর বাকি আছে তা ভবিষ্যতে ছাত্র-ছাত্রীদের ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা করা হবে।