|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : বর্ষাকাল মানেই সাপের উপদ্রব। এই সময় সাপেরা শীতঘুম কাটিয়ে উঠে ঘুরে বেড়ায় বনে জঙ্গলে। খাবারের সন্ধান করতে করতে তারা অনেক সময় চলে আসে লোকালয়ে। এসব সাধারণত নিরীহ প্রকৃতির সরীসৃপ হলেও নিজের আত্মরক্ষার কারণে অনেক সময় আঘাত করে ফেলে সাধারণ মানুষ কিংবা পশুপাখিকে। রাতের অন্ধকারে কোন কারণে সাপের গায়ে পা পড়ে গেলে নিজের আত্মরক্ষার কারণেই সাপ আক্রমণ করে থাকে।
জেলা তথা গোটা রাজ্যেই বিভিন্ন প্রজাতির সাপ লক্ষ্য করা যায়। তবে এই সাপগুলির মধ্যে বেশিরভাগই নির্বিষ। কিছু সাপ রয়েছে যা অত্যন্ত বিষধর। তার মধ্যে রয়েছে গোখরো, কালাচ, চন্দ্রবোড়া, কেউটে। বর্তমানে বাড়ির আনাচে-কানাচেই কালাচ ও চন্দ্রবোড়া সাপ অত্যন্ত বেশি পরিমাণে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।প্রাণী বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এর কারণ ক্রমশ মানুষ বন জঙ্গল পরিষ্কার করে তা নিজের বসবাসের উপযোগী করে তুলছেন। যার ফলে সেই সমস্ত বন জঙ্গলের জীবজন্তুরা বাসস্থানের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসছে। যে সমস্ত বিষধর সাপ বর্তমানে লক্ষ্য করা যায় তার মধ্যে প্রধান কালাচ। এই সাপটিকে সাইলেন্ট কিলারও বলা হয়ে থাকে। এই সাপের বিষে নিউরোটক্সিন নামক বিষ থাকে। এই সাপ কামড় দেওয়ার সাথে সাথে আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো অত্যন্ত জরুরি। সঠিক সময় চিকিৎসা না হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব নয় বলে জানান চিকিৎসকেরা।সাপের হাত থেকে রেহাই পেতে একাধিক পরামর্শ দিচ্ছেন সর্প বিশেষজ্ঞ ও বন্যপ্রাণ উদ্ধারকারী শান্তিপুরের বাসিন্দা অনুপম সাহা।১. বাড়িঘর পরিষ্কার রাখুন অযথা জঞ্জাল জমিয়ে রাখবেন না।হবে এবং অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে সেটিকে ভালো করে গুঁজে ঘুমোতে হবে।৪. কোন ব্যক্তিকে সাপে কামড় দিলে অযথা বিচলিত না হয়ে যত দ্রুত সম্ভব সরকারি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।৫. অযথা ঝাড়ফুঁক, তন্ত্র, মাদুলি, ওঝা ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে এছাড়াও তিনি জানান সাপের কামড়ের একমাত্র ওষুধ এ.ভি.এস প্রতিটা সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে পাওয়া যায়। কোন বেসরকারি হাসপাতালে বা ওষুধের দোকানে কিনতে পাওয়া যায় না। সুতরাং সাপে কামড়ালে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সময় নষ্ট না করিয়ে যত দ্রুত সম্ভব সরকারি হাসপাতালে এসে চিকিৎসা করানো অত্যন্ত জরুরি।