নদীর পাড় ঘিরে কখনও কংক্রিটের দেওয়াল অথবা আবাস

নিজস্ব প্রতিবেদক:- নদীর পাড় ঘিরে কখনও কংক্রিটের দেওয়াল অথবা আবাস তৈরি করা যায় কিনা এর আগে জানা ছিল না। তবে এবার সেই ভয়ঙ্কর ঘটনায় ঘটতে দেখা গেল বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত কোপাই নদীর পাড়ে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই এলাকার বাসিন্দারা আশ্চর্য হয়ে ওঠার পাশাপাশি আতঙ্কিত। তারা আতঙ্কিত মূলত বন্যার আশঙ্কায়। কারণ তাদের দাবি, যদি এইভাবে নদী পাড় ঘিরে কংক্রিটের দেওয়াল অথবা বাড়ি তৈরি করা হয় তাহলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হতে পারে। নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হলেই প্লাবিত হবে বসতি এলাকা। জলে ডুবে যাবে এলাকার মানুষদের বাড়িঘর। এমনিতেই এই কোপাই নদী বর্ষার সময় প্রতিবছর ভয়ংকরভাবে ফুলে-ফেঁপে ওঠে। কোপাই নদীকে নিয়ে এমন বিতর্ক বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে। কখনও মাটি কেটে নেওয়া অথবা কখনও এইভাবে অবৈধভাবে নির্মাণ করা ইত্যাদি নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই।এবার এমন ভয়ঙ্কর বিতর্ক তৈরি হয়েছে শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত কমলাকান্তপুরের আদিবাসী অধ্যুষিত কোঁড়া পাড়ায়। এই আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় কম করে ৮০ টি পরিবার বসবাস করে। তাদের অভিযোগ একটি বেসরকারি সংস্থা জমি অধিগ্রহণ করেছে এবং সেই জমি বেআইনিভাবে ঘিরে ফেলার কাজ চালানো হচ্ছে। এর ফলে তাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তাদের এই এলাকা বর্ষার সময় নদীগর্ভে চলে না যায়।এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তারা একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে বিষয়টি অবৈধ বলে জানানো হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের তরফ থেকে সেই নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।পঞ্চায়েত সদস্যদের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, বেসরকারি ওই সংস্থার দাবি, তাদের নাকি ১০ বিঘা মত জমি রয়েছে এই এলাকায়। সেই জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, নিয়ম অনুসারে নদী পাড় থেকে ১০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত মাটিকাটা অথবা কোন নির্মাণ কাজ তৈরি করা বেআইনী।