|
---|
নিউজ ডেস্ক : প্রণয়ঘটিত সম্পর্কের জেরে, সন্তানসহ বিবাহিত এক মহিলাকে নিয়ে বাড়িতে আসায় ছেলের গলা কেটে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করলেন এক পিতা।
হায়দার মল্লিক নামে ১৯ বছরের এক যুবক দক্ষিণো চব্বিশ পরগনার নোদাখালী থানার অন্তর্গত চন্ডিপুরের বাসিন্দা এক মহিলার প্রেমে পড়েন। কিন্তু ওই মহিলা বিবাহিত ছিলেন এবং যার দেড় বছরের একটি সন্তানও আছে। নিজের চেয়ে বয়সে বড় ওই মহিলাকে গত মঙ্গলবার ১৮ই মে তারিখ বাড়িতে নিয়ে আসায় হায়দারের বাবা সমীর মল্লিক যিনি পাড়ায় মিন্টুদা বলেই পরিচিত ভীষণ রেগে যান এবং ভেতরে ভেতরে গুমড়ে থাকেন। ওই মুহূর্তে প্রতিবেশীরা সিদ্ধান্ত নেয় ওই দুইজন আলাদা আলাদা ঘরে থাকবে অর্থাৎ নোদাখালীর ওই মহিলা প্রতিবেশী একজনের বাড়িতে থাকবে এবং ওই যুবক তার নিজের বাড়িতেই থাকবে। বিষয়টি পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু আজ সকালে হায়দারের সঙ্গে তার বাবার ওই সম্পর্ক সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিবাদ চরমে উঠলে পার্শ্ববর্তী একটি মাঠে ওই যুবককে নিয়ে গিয়ে পিতা সমীর মল্লিক ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের ছেলের গলা কেটে খুন করে, বজবজ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। হায়দারের এই দৃশ্য দেখে হকচকিয়ে যান পুলিশ কর্মকর্তারা । পরবর্তী সময়ে বজবজ থানার পুলিশ হায়দারের দেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোর পাশাপাশি অভিযুক্ত বাবা সমীর মল্লিক(৪৫) এর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নিচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া । রুকসা বিবি নামে ২৫ বছরের ওই মহিলাকেও আটক করেছে বজবজ থানার পুলিশ।