সন্দেশখালিতে ৫০০ মানুষকে ইয়াসে ত্রাণ বিতরণে সিরাত

সংবাদদাতা : আয়লা, ফনি, বুলবুলি, আমফান ঝড়ের মতো “ইয়াসে”ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিরাত সোস্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড এডুকেশনাল ট্রাস্ট।

    ৩রা জুন, বৃহস্পতিবার সংগঠনের সদস্যরা ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত এলাকার মধ্যে অন্যতম এলাকা সন্দেশখালি। সেই এলাকার রামপুর, ঝুপখালি, সামন্তপাড়া, সরদার পাড়া এবং পাচুঁ মোল্লার মোড় সংলগ্ন এলাকাসহ ধামাখালি মানুষদের পাশে মানবিককতার পরিচয়ে ত্রাণ নিয়ে পৌছে যায়।
    এদিন ৫০০ মানুষের হাতে শুকনো খাবারের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়, রামপুর মুসলিমিয়া জুনিয়র হাই মাদ্রাসার ঈদগাহ প্রাঙ্গণ থেকে।
    শুকনো খাবারের প্যাকেটে ছিলো মুড়ি, লবন, সাবান, বিস্কুট, চিড়ে, সোয়াবিন, আলু, পিঁয়াজ, চিপস, কেক, বাতাসা, মাস্ক, স্যানিটাইজার ইত্যাদি। এছাড়া প্রত্যেককে ৫ লিটার মিনারেল ওয়াটারের জার দেওয়া হয়। ত্রাণ বিতরণের কাজের শুভ সূচনা করেন সিরাতের রাজ্য কমিটির সভাপতি ও আল হেরা অ্যাকাডেমির সম্পাদক হাজি আকবর আলি, মাদ্রাসার সম্পাদক ইউসুফ খান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিরাতের রাজ্য সম্পাদক ও বিশিষ্ট শিক্ষক আবু সিদ্দিক খান, ইসমাইল মন্ডল, আজগার খান, রবিউল ইসলাম, নাজমা খাতুন, ইমরান আব্বাস, সেখ রানা, সেখ আফ্রিদি প্রমুখ।
    ধামাখালিতে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল খালেক খান, ইমান আলি, শুকুর আলি,কুতুবউদ্দিন মোল্লা, বাকিবুল ইসলাম।
    সিরাত সম্পাদক আবু সিদ্দিক খান, ত্রাণ বিতরণে যারা বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমাদের এই উদ্যোগ বোধহয় বিন্দুতে সিন্ধু। আমি এই এলাকার ভূমি পুত্র। সচক্ষে দেখেছি কিভাবে নদী ভাঙ্গন। জল উচ্ছ্বাসের ফলে কয়ক ঘন্টার মধ্যে গ্রাম গুলো ভেসে গেল। আজ এই কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষ একটু পানীয়জল, বাচ্চাদের খাবারের জন্য হাহাকার করছে। এছাড়া তিনি সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে এই ‘ইয়াস’ দুর্গতদের পাশে থাকার জন্য সামর্থ অনুযায়ী এগিয়ে আসার আহবান জানান।