বাবার অনবদ্য মনের জোর এর কাছে হার মানলো ছেলের দুরারোগ্য ব্যাধি

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বাবার অনবদ্য মনের জোর এর কাছে হার মানলো ছেলের দুরারোগ্য ব্যাধি। হার না মানার মনোভাব , নিজের প্রবল মনের জোরকে সঙ্গে করে ছেলেকে দুরারোগ্য ব্যাধি মিঙ্কস সিনড্রোম থেকে বাঁচানোর জন্য ঘরে ওষুধ তৈরি করে ফেলল বাবা।

    চীনের কুনটি এই ঘটনাটি ঘটেছে। জন্মের পরের থেকেই হাউ ইয়াং দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত । তার বয়স বর্তমানে দুই বছর, ডাক্তাররাও আশা ছেড়ে দিয়েছেন পরিষ্কার বলে দিয়েছেন আর বেশীদিন বাঁচবেনা ছোট্ট শিশুটি। কিন্তু শিশুটির বাবা জু হাল ছাড়েননি , নিজের ছেলেকে বাঁচানোর জন্য ঘরের মধ্যেই গবেষণা করে ওষুধ তৈরি করে ফেলেছেন । এবং সেই ওষুধ খাওয়ানোর দুই সপ্তাহ পর থেকেই শিশুটি একটু একটু করে ভালো হচ্ছে।

    এরকম দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত শিশু সাধারণত বেশিদিন বাঁচে না । ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি এই রোগের ওষুধ তৈরি করতে খুব একটা আগ্রহ দেখায় না। বিদেশে নিয়ে গেলে একমাত্র ভালো চিকিৎসা হওয়া সম্ভব। কিন্তু তাতেও যে বাঁধা রয়েছে , বর্তমানে করোনার কারণে দেশের বাইরে যাওয়া বিপদজনক। তাই ওষুধ প্রস্তুত সরঞ্জাম নিয়ে বাড়িতে ওষুধ প্রস্তুত করেছে জু । আগে তার অনলাইনে লটারির ব্যবসা ছিল। তবে তার বর্তমানে ধ্যান-জ্ঞান সব ছেলে। ছেলেকে সুস্থ করা তার জীবনের প্রধান লক্ষ্য। প্রথমে এসেই এই রোগটি সম্বন্ধে অনলাইনে পড়া শুরু করে, কিন্তু ইংরেজিতে সবকিছু থাকায় বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিল । ইংরেজি থেকে অনুবাদ করবার জন্য সফটওয়্যার ডাউনলোড করে কম্পিউটারে। সেখান থেকে জানতে পারে এই রোগের কারণ ও তার প্রতিকার। তারপর সে গবেষণা শুরু করে ।ওষুধ প্রস্তুত করে প্রথমে খরগোশ ও নিজের উপর প্রয়োগ করে। তারপর আশ্বস্ত হয় যে ওষুধের কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই। এবং তখন নিজের ছেলেকে সে খাওয়ানো শুরু করে, ওষুধ খাওয়ানোর দুই সপ্তাহ পর ছেলের রক্তপরীক্ষা করে জানতে পারে জু আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ হয়েছে সে। বাবার লড়াই এর কাছে হার মেনেছে মরণব্যাধি।