|
---|
বাবলু হাসান লস্কর,কলকাতা : কুরআনের আলো ফাউন্ডেশন একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন ,২০২২ সালে হাওড়া জেলার বাউড়িয়া মাদ্রাসা দারুল উলুম মুহাম্মাদিয়ার শিক্ষক মাওলানা সায়াদ কাসেমী এবং তার সহকর্মীরা স্বপ্ন দেখেন,কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বজয়ের, গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মধ্যে কুরআন প্রতিযোগিতা একটি অন্যতম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা, ক্রিকেট ফুটবলের পাশাপাশি কুরআন প্রতিযোগিতার দ্বারায় ও বহু দেশ গোটা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে, তাই, কুরআনের দ্বারা ভারত বর্ষকে গোটা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করল, সহকর্মীদের নিয়ে তৈরি হল সংগঠন, নাম দেওয়া হয় কুরআনের আলো ফাউন্ডেশন শুরু হয়। তার তোর জোর, চেয়ারম্যান যুক্ত হলেন মুফতি মুমতাজ আহমেদ, প্রোগ্রাম কিরকম স্তরে হওয়ার দরকার উপলব্ধি করল তারা, কুরআন তো পৃথিবীর উপরে আল্লাহ প্রদত্ত বাণী যেটি পৃথিবীর সমস্ত বই পুস্তকের থেকে সম্মানীয়, কবিতা আবৃত্তি যদি অডিটোরিয়ামে হতে পারে তাহলে সব থেকে দামি গ্রন্থ কুরআন প্রতিযোগিতা কেন বাঁশের প্যান্ডেলে হবে, মেলা খেলায় যদি লাখ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া যায় কুরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার কেন কম হবে, এই উদ্দেশ্য যখন জাতির কাছে তুলে ধরলো তারা,বহু কুরআন প্রেমী সমর্থন করে এগিয়ে এলো , তাদের পাশে। পশ্চিম বাংলার গ্রাম থেকে শহর শুরু হলো প্রতিভাবান হাফেজদের সন্ধান, কয়েক রাউন্ডে সম্পূর্ণ হলো তাদের বাছাই পর্ব, তারপর সাড়ম্বরে উদযাপিত হলো হাওড়া জেলার শরৎ সদনে গ্র্যান্ড ফাইনাল প্রতিযোগিতা ২০২২ দ্বিতীয় বছর ২০২৩ সর্বভারতীয় ঘোষণা না থাকা সত্ত্বেও পাঁচটি রাজ্য থেকে প্রতিযোগীরা এসেছিলেন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে, সংগঠনটি বুঝতে পারলো ভারতবর্ষে এই প্রতিযোগিতার কতটা চাহিদা। কুরআন প্রতিযোগিতায় কতটা ক্ষুধার্ত ছিল আমাদের দেশ, তাই তৃতীয় বর্ষ ২০২৪ এ অল ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতার ঘোষণা করলো তারা। বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রায় ১০০০ জন অনূর্ধ্ব ১৬ বছর বয়সি হাফেজ অংশগ্রহণ করে ,কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে সেমিফাইনালে ৬০ জনকে বেছে নেয়া হয়, সেমিফাইনাল থেকে নির্বাচিত হলো ভারতবর্ষের টপ টেন হাফিজ সেই সেরা ১০ জন হাফিজ নিয়ে ৩রা জুলাই কলকাতার জাঁকজমক পূর্ণ ধনধান্য অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় গ্র্যান্ড ফাইনাল প্রতিযোগিতা অর্থাৎ ভারতবর্ষের সেরা ৫ জন চ্যাম্পিয়ন, যাদেরকে প্রথম পুরস্কার নগদ এক লক্ষ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৭৫ হাজার,তৃতীয় পুরস্কার ৫০ হাজার চতুর্থ পুরস্কার ৩০ হাজার পঞ্চম পুরস্কার ২০ হাজার এবং প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী কে ওমরা হজের টিকিট দেয়া হয়েছে, অডিটোরিয়াম ভরা দর্শকদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো,বহু মানুষ অংশগ্রহণের আকাঙ্খায় থাকা সত্ত্বেও অডিটোরিয়ামের আসন সংখ্যা পূরণ হয়ে যাওয়ায়, টিকিট প্রবেশ কার্ড পাননি তাদের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন কর্মকর্তারা। লাইভে তাদের জন্য প্রোগ্রামটি দেখানোর চেষ্টা করেন তিনারা ২০২৩ সালের চ্যাম্পিয়ন এ বছর আরবে ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ অর্জন করেছে তার সফলতার জন্য সকলে দোয়াপ্রার্থী ,এভাবেই তারা ভারতবর্ষকে বিশ্বের মানচিত্রে কুরআনের দ্বারায় আরো পরিচিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০২৪ এর গ্র্যান্ড ফাইনালে তৃতীয় হয়েছেন নাফিস খাঁন হরিয়ানা, দ্বিতীয় হয়েছেন তানভীর আলম উত্তর চব্বিশ পরগনা, প্রথম হয়েছেন কর্নাটকের সৈয়দ আনাস। বিচারক মন্ডলী ছিলেন মালয়েশিয়ার আজরাই বিন আব্দুল হক, আত্বহার গাযালি ঝাড়খন্ড, মনজুর আহমদ সাহেব আসাম। প্রধান অতিথি ছিলেন মঞ্জুর আলম কাসেমী সাহেব কলকাতা ,জনাব ফিরাদ হাকিম সাহেব কলকাতার মেয়র, ইউসুফ বিসমিল্লাহ সাহেব গুজরাট, মুফতি আজম কাসেমী সাহেব পাঁশকুড়া মাদ্রাসা, সঞ্চালনা করেন নিজামুদ্দিন কাসেমী সাহেব উত্তর ২৪ পরগনা। তথ্যসূত্র কোরআনের আলো ফাউন্ডেশনের সদস্য কাজী মিসবাহুদ্দিন।