|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: বঙ্গ বিজেপির অন্দরে কোন্দল তুঙ্গে। সপ্তমীর দিনে দলের যুব মোর্চার সমস্ত পদ বাতিল করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তাতেই বেজায় চটেছেন যুব মোর্চার সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খান। এতটাই চটেছেন যে সংগঠনের রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শনিবার সকালে নিজের সিদ্ধান্তের কথা সংগঠনের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে জানিয়ে দিয়ে ওই গ্রুপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি।
বিজেপিতে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয়-মুকুল রায়দের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খান সংঘাত কোন নতুন বিষয় নয়। যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি হিসেবে তাঁর নিয়োগ প্রথম থেকেই মেনে নিতে পারেননি বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাই রাজ্য কমিটি গঠন নিয়েই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সৌমিত্রের লড়াই শুরু হয়। যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির নিয়োগ করা সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের তালিকা বাতিল করে দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। পরে অবশ্য বিজেপি রাজ্য সভাপতির বেশ কয়েকজন অনুগামীকে ঠাঁই দিয়ে কমিটি পুনর্গঠন করেন সৌমিত্র।
কিন্তু যুব মোর্চার জেলা সভাপতি হিসেবে মুকুল রায়-বাবুল সুপ্রিয়দের অনুগামীদের নিয়োগকে কেন্দ্র করে ফের দুজনের মধ্যে সংঘাত বাঁধে। শুক্রবার আচমকাই এক নির্দেশে যুব মোর্চার সব জেলা সভাপতি ও জেলা কমিটিকে বাতিল করে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এক নির্দেশিকায় জানিয়ে দেন, আপাতত প্রতি জেলায় যুব মোর্চার দায়িত্ব সামলাবেন দলের জেলা সভাপতিরা।
আর বিজেপি রাজ্য সভাপতির ওই অবস্থান কোনভাবেই মেনে নিতে পারেননি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খান। শনিবার সকালে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পদত্যাগের কথা জানান তিনি। ওই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি লিখেছেন, ‘শুভ মহা অষ্টমী। সকলে ভাল থাকবেন। আপনাদের খুবই সহযোগিতা পেয়েছি। আমি চাই বিজেপিকে সরকারে আনতেই হবে। তাই হয়ত আমার অনেক ভুল ছিল, যা দলের প্রতি ক্ষতি হচ্ছিল। তাই আমি রিজাইন দেব। আর সকলে ভাল থাকবেন। যুব মোর্চা জিন্দাবাদ, বিজেপি জিন্দাবাদ, মোদিজি জিন্দাবাদ।’ মেসেজ পোস্ট করেই অবশ্য যুব মোর্চার অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ লেফট করেছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ।