১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরার ক্ষেত্রে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক:- প্রতিবছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরার ক্ষেত্রে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা থাকে। এ বছরের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তু, সেই নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে আন্তর্জাতিক জলসীমা পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে মাছ ধরার অপরাধে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৮ জন ট্রলার মালিককে শোকজ করল জেলা প্রশাসন। আগামী ২৪ জুনের মধ্যে তাদের শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।এই ৮ জন ট্রলার মালিকের মধ্যে একটি রায়দিঘির এবং বাকি সাতটি কাকদ্বীপের হারবার পয়েন্ট কোস্টাল থানা এলাকার। উপকূলরক্ষী বাহিনি সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক জলাসীমা লঙ্ঘন করে এই ৮ জন ট্রলারমালিক ঢুকে পড়েছিলেন বাংলাদেশে। উপকূলরক্ষী বাহিনি মারফত এই খবর পায় জেলা প্রশাসন। এরপর ট্রলারগুলিকে চিহ্নিত করে শোকজ করা হয়। যে ট্রলারগুলিকে শোকজ করা হয়েছে সেগুলির নাম হল এফবি মা সারদা- ২, এফবি বাবা অমরেশ্বর, এফবি পারমিতা, এফবি সপ্তর্ষি নারায়ণ, এফবি সুস্মিতা, এফবি বর্গভীমা-৪, এফবি পুষ্পাবতী-২ এবং এফবি মা মঙ্গলচণ্ডী-২৫। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সহ মৎস্য অধিকর্তা জয়ন্ত কুমার প্রধান, জানিয়েছেন ১৩ থেকে ১৬ জুনের মধ্যে এই ৮টি ট্রলার বিধি ভঙ্গের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন করেছিল। প্রতিটি ট্রলারে ১৮ জন করে মৎস্যজীবী ছিলেন।এ প্রসঙ্গে ট্রলারমালিকদের শুধু শোকজ নয়, তাদের আরও কড়া শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করেন ওয়েস্টবেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিজন মাইতি। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘণ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীদের বাংলাদেশ প্রবেশ করার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও বেশি মাছ ধরার লোভে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু মৎসজীবীকে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছে। ৩ বছর আগে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়েছিলেন বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী।