|
---|
বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : মরণোত্তর অঙ্গদান, দেহদান, চক্ষুদানের অঙ্গীকার নিয়ে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা এগিয়ে চলেছেন। এখনো মানুষের মধ্যে সেই মান্ধাতা আমলের চিন্তাভাবনা নিয়ে দিন অতিবাহিত করছে। আমরা কি পারিনা আমাদের সমাজ থেকে এমনি অন্ধত্ব দূর করতে? অঙ্গদান দেহদান চক্ষুদান এর মাধ্যম দিয়ে দীর্ঘদিনের অবহেলিত নিপীড়িত মানুষদের সাহায্যার্থে আমরা এগিয়ে আসি। সকল স্তরের মানুষের মানবিকতা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন যেভাবে প্রচার-প্রসারের মাধ্যমে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন, আমরা কি পারি না তাদেরকে সহযোগিতা করতে। মরণের পর এই নিথর দেহ বিলীন হয়ে যায়। তাই এই দেহ দান করলে চিকিৎসা স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন ঘটানো যায়। মানুষ যখন মারা যায় তার দেহটি ধর্মীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধিস্থ করা হয়। আর সেই অঙ্গ মাটির সঙ্গে মিশে যায় কিংবা পুড়িয়ে ছাই হয়ে যায়। কিছু সময়ের বিশেষ কিছু দেহদান ও অঙ্গ দান কিম্বা চক্ষু দানে কিছু মানুষের এই অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে তারা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারে। বিশেষ মুহূর্তের কিছু দেহ দান করলে দীর্ঘদিনের প্রতিবন্ধকতা থাকা ব্যক্তিরা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারে।
বিকলাঙ্গ ব্যক্তিরা ছন্দে ফিরলে তাদের যে অনুভূতি সত্যিই কল্পনাপ্রসূত। এমনি কিছু কাজ করলে নিজের মনের মধ্যে একটা আলাদা অনুভূতি সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিনের বাসনা থাকলেও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা তাদের কাছে বেদনাদায়ক। স্বাভাবিক ভাবে পরিবারের সঙ্গেই থাকার যে একটা আলাদা আনন্দ চিরদিনের জন্য তাদের কাছে শেষ হয়ে যাওয়ার আগে, আমরা এগিয়ে আসলে নিশ্চয়ই ঐ সমস্ত পরিবার, ঐ সমস্ত ব্যক্তিরা মূল স্রোতে ফিরে আসতে পারে। বর্তমান যুগে ইলেকট্রনিক্স তথা আধুনিক, যত আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করি না কেন কিন্তু সেই পুরানো মান্ধাতার আমলের সেই ধর্মীয় ভাবাবেগ আজ আমাদের মধ্যে বিরাজ করছে। যে মুহুর্তে একের পর এক নতুনত্ব আবিষ্কারের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে গেলেও পিছিয়ে পড়ছে আমাদের এই সমাজ। তাই সমাজ থেকে এই সমস্ত কুপ্রভাব বিসর্জন দিয়ে, আগামী দিনের নতুন সূর্যোদয়ের লক্ষ্য নিয়ে সুস্থ-সবল স্বাভাবিক ছন্দে ফিরুক এই সমস্ত মানুষজন জনগনের পাঠশালার চিত্র।