|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: শালতোড়ার বিজেপি বিধায়কের ‘দ্বিতীয় বিয়ে’র জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। ফেসবুক লাইভে ‘দ্বিতীয় স্বামী’ কৃষ্ণ কুণ্ডু জোর গলায় বলেছেন, দলকে শিক্ষা দিতেই একাজ করেছেন তাঁরা। এসবের মাঝে শোনা যাচ্ছে, এবার তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। যদিও এই জল্পনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই জানিয়েছেন বিধায়ক।
প্রার্থী হওয়ার পরই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন বাঁকুড়ার শালতোড়ার অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের চন্দনা বাউড়ি। প্রার্থী হয়েই বিজেপির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কোমর বেঁধে নেমেছিলেন ভোটের কাজে। দরিদ্র পরিবারের বধূ চন্দনার লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন সকলেই। বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি। এক চিলতে ঘর থেকে বিধানসভা, কার্যত সিনেমার মতো বদলে যায় চন্দনার জীবন। তবে মাত্র কয়েকমাসেই ছন্দপতন।
বিধায়ক হওয়ার সাড়ে তিনমাসের মাথায় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন চন্দনা বাউড়ি। আগস্ট মাসে অভিযোগ ওঠে, স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে বিজেপি কর্মী তথা গাড়িচালক কৃষ্ণ কুণ্ডুকে বিয়ে করেছেন চন্দনা। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও ‘দ্বিতীয় স্বামী’ কৃষ্ণ নাছোড়বান্দা। তিনি বারবার দাবি করেছেন, চন্দনা তাঁর বিবাহিত স্ত্রী। ফেসবুক লাইভে সুভাষ সরকার-সহ একাধিক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন যে, দলকে শিক্ষা দিতেই এই সিদ্ধান্ত।
কৃষ্ণ কুণ্ডুর মনে যে বিজেপির প্রতি তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শোনা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তিনি। তাঁর সূত্র ধরেই চন্দনা বাউড়িও বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারেন বলেই খবর। যদিও বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তীহীন বলেই দাবি শালতোড়ার বিধায়কের। তাঁর দাবি, দলের তরফে তাঁকে কোণঠাসা করা হলেও তিনি বিজেপিতেই থাকবেন। যদিও বাঁকুড়া বিজেপির একাংশের দাবি, সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েনের কারণেই যে কোনও মুহূর্তে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন চন্দনা। তবে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা জানিয়েছেন, কোনও পরিস্থিতিতেই চন্দনা বাউড়িকে দলে নেওয়া হবে না। সত্যিই কি দল বদলাবেন চন্দনা? এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে।