|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই রাজ্য জুড়ে শুরু হচ্ছে “দুয়ারে সরকার” কর্মসূচি। এদিন নবান্ন থেকে ভিডিও কনফারেন্স করা হয় সব রাজ্যের জেলা শাসক পুলিশ সুপার সহ জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে। ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় প্রত্যেকটি ব্লকে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
ভিডিও কনফারেন্সে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান ” মোট চারটি রাউন্ডে কুড়ি হাজার ক্যাম্পের মাধ্যমে এই কর্মসূচি করা হবে। এই কর্মসূচির আওতায় মোট ১১ টি স্কিম হাইলাইট করা হয়েছে ।” মূলত এই কর্মসূচির আওতায় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ১১টি স্কিমের কথা রাজ্যের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী,কাস্ট সার্টিফিকেট,জয় জহর, তপশিলি বন্ধু, খাদ্য সাথী( এই টিমের মধ্যে শুধুমাত্র যে সমস্ত রেশন কার্ডের কোন মডিফিকেশনের দরকার পড়বে বা রেকটিফিকেশন দরকার সেই কাজগুলো করা হবে), শিক্ষাশ্রী, ঐক্যশ্রী,কন্যাশ্রী,রূপশ্রী,কৃষক বন্ধু, এবং ১০০ দিনের কাজ।
সোমবার মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন ” এই ১১ টি স্কিম ছাড়া আরো কোন কিছু বিষয় নিয়ে অভিযোগ থাকলে আসা যাবে ক্যাম্পে। আমরা কী কী ধরনের কাগজ চাইছি তার জন্য আমরা সব তথ্য পাবলিক ডোমেইনে দিয়ে দেব। রাজ্যজুড়ে এই কুড়ি হাজার ক্যাম্প ঠিক মতো করে চলছে নাকি উপস্থিতি কিরকম রয়েছে তার জন্য উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে ।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত সোমবার বাঁকুড়া খাতড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে ঘোষণা করেন এই “দুয়ারে দুয়ারে সরকার” প্রকল্প। সেই প্রকল্পই মঙ্গলবার থেকে বাস্তবায়িত হতে চলেছে। মূলত এই ১১ টি প্রকল্প গ্রামীণ এবং শহরের মানুষের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। আর তাই এই প্রকল্পগুলি সম্পর্কে অভাব-অভিযোগ শুনতে ব্লকে, ওয়ার্ড ভিত্তিক শিবির করে অভাব-অভিযোগ শুনবেন সরকারি আধিকারিকরা।
মূলত প্রথম রাউন্ডের কাজ হবে ১ থেকে ১১ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় রাউন্ডের কাজ হবে ১৫ থেকে ২৪ ডিসেম্বর। তৃতীয় রাউন্ডের কাজ হবে ২ থেকে ১২ জানুয়ারি ২০২১ এবং চতুর্থ রাউন্ডের কাজ হবে ১৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি ২০২১। চতুর্থ রাউন্ড থেকে মূলত মপ-আপ রাউন্ড বলা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন ” প্রত্যেকটা রাউন্ডে কি কি কাজ করা হবে তার বিস্তারিত উল্লেখ করা থাকছে। প্রথম রাউন্ডে মূলত যার যা গ্রিভান্স বা পরিষেবা পাওয়ার অসুবিধা রয়েছে তারা ফর্ম ফিলাপ করার মাধ্যমে জানাবেন। দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে সেই সুবিধাগুলো দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।” এই প্রকল্পের নজরদারির জন্য সিনিয়র আইএস অফিসারদের প্রত্যেকটি জেলায় নোডাল অফিসার হিসেবে রাখা হয়েছে ।