সুন্দরবনের বেড়ে ওঠা সমস্যাগুলিকে সমাধান করতে এগিয়ে এল রাজ‍্য বন দপ্তর

নবাব মল্লিক, দক্ষিণ ২৪ পরগণা। সুন্দরবনের বেড়ে ওঠা সমস্যা গুলি চিহ্নিত করে সমাধানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করল রাজ্য বনদপ্তর। ডব্লু ডব্লু এফ, ডিসকভারি ইন্ডিয়া, আই এস আর কলকাতা ও রাজ্য বনদপ্তর এর উদ্যোগে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা গঠনের কাজ শুরু হল সুন্দর মনে সজনেখালিতে।
একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন বনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু। উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা নীলাঞ্জন মল্লিক ডিসকভারি ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেঘনা টাটা প্রমূখ সম্প্রতি সারাদেশের সঙ্গে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু যে এলাকায় থাকে সেই এলাকা কে রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের। এদিকে বাঘের থাকার জায়গা কমছে, সমুদ্রের নোনা জল ক্রমাগত মিশেছে মিঠেন জলে, ফলে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। মাথায় হাত পরিবেশবিদদের। নদীর জলে ইতিমধ্যেই লবণের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে, ফলে সুন্দরী গাছের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত ভাবে কমে যাচ্ছে। তাই সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র রক্ষার জন্য সরকারের এই পদক্ষেপ। বাস্তুতন্ত্রে পরিবর্তন নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে একটি ভাসমান বোর্ড একটি স্পিড বোর্ড বাস্তুসংস্থান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখান থেকেই জলবায়ু পরিবর্তনের উপর নজরদারি চালানো হবে। ২০১৫ সাল থেকে ডব্লু ডব্লু এফ সুন্দরবন বিভিন্ন জায়গায় জলবায়ু পরিবর্তনের উপর কাজ শুরু করেছে, গত এক বছরে তার কিরূপ পরিবর্তন হয়েছে সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট সংস্থার তরফ থেকে তুলে দেয়া হয় বনদপ্তর এর হাতে। বনদপ্তর এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে আই এস আর কলকাতা, এই সংস্থার অধ্যাপক বলেন প্রতিনিয়ত সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রের পরিবর্তন হচ্ছে যার ফলে সুন্দরবনের জল জঙ্গল ও আশেপাশের জনজাতির উপর তার প্রভাব পড়ছে এই পরিবর্তনের ফলে বেশকিছু জীববৈচিত্র্য ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের বুক থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে, তাই এই কাজ শুরু হয়েছে।