রাজ্যে ভোটের পর হওয়া অশান্তির তদন্তে এবার নামছে রাজ্য সরকারের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোটের পর হওয়া অশান্তির তদন্তে এবার নামছে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। বৃহস্পতিবার ওই সিট গঠনের কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। আদালতের নির্দেশ মেনে কেন সিট গঠন করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। তারপরেই এই ঘোষণা।

    ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। ওই নির্দেশে বলা হয়, খুন ও ধর্ষণের মতো মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। অন্যদিকে, অন্য়ান্য ঘটনার তদন্ত করবে সিট। সেই সিট গঠন না হওয়ায় আদালতে মামলা করারও হুমকি দেন মামলাকারীরা। তারপরেই এই ঘোষণা।

    বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে একটি নির্দেশিকায় ওই সিট গঠন করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ওই স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম রয়েছেন ১০ জন সিনিয়র-জুনিয়র আইপিএস। রাজ্যকে ৫টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি জোনে থাকবেন ২ আইপিএস। এর মধ্যে হোডকোয়াটার্সের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিআইজি রেল সোমা দাস ও শুভঙ্কর ভট্টাচার্যকে, নর্থ বেঙ্গল জোনের দায়িত্ব পেয়েছেন বিপিন সিং ও প্রবীণ ত্রিপাঠি, পশ্চিম জোনের দায়িত্ব পেয়েছেন আইপিএস সঞ্জয় সিং। সাউথ বেঙ্গল জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিদ্ধিনাথ গুপ্তা  ও প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    এদিকে, ভোট পরবর্তী আশান্তির সিবিআই তদন্তের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য সরকার। রাজ্যের দাবি, সিবিআইয়ের কাছ থেকে এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ তদন্ত আশা করা যায় না। কারণ কেন্দ্রের নির্দেশে তৃণমূল কর্মীদের মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। এনিয়ে একটি পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকারের জমা দেওয়া ওই পিটিশনে অভিযোগ তোলা হয়েছে, কেন্দ্রের পক্ষেই কাজ করছে সিবিআই। তাদের একমাত্র লক্ষ্য তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া। অর্থাত্ সিবিআই তদন্তকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছে রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয় বর্তমানে যে সিবিআই তদন্ত চলছে তার উপরে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে। এখন সুপ্রিম কবে এই মামলার শুনানি করে সেটাই এখন দেখার।