|
---|
মালদা ১ সেপ্টেম্বর: পাটের গোলাতে শ্রমিকদের পাটের গাট বাধার মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজ করা বন্ধ করে প্রতিবাদে নামলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা। যার ফলে গত চারদিন ধরে হরিশ্চন্দ্রপুর এর প্রায় দশটিরও বেশি পাটের গোলাতে পাট কেনাবেচা করতে পারছেন না গোলা মালিক থেকে শুরু করে পাট চাষীরা। এই আন্দোলনের ফলে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন পাট চাষীরা।
পাট চাষীদের অভিযোগ ,পাটের গোলার শ্রমিকদের জন্য আমাদের মতো চাষীদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। ধারদেনা ঋণ করে আমরা এবছর পাট চাষ করেছি। এবং সেই পাঠ কাটা থেকে শুরু করে পাট পঁচিয়ে আশ ছাড়ানো পর্যন্ত প্রচুর টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ওই পাঠ গোলা মালিকদের কাছে বিক্রি করতে গেলে সেই পাঠ কিনতে অস্বীকার করছেন গোলা মালিকরা বলে অভিযোগ। তাদের এও অভিযোগ গোলা মালিকদেরকে কড়াভাষায় হুশিয়ারি দিয়েছেন পাটের গোলার শ্রমিকরা। এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর থানা তুলসিহাটা হাটে প্রায় কয়েক হাজার কুইন্টাল হরিশ্চন্দ্রপুর বিস্তীর্ণ এলাকার পাট চাষীরা পাট বিক্রি করতে এসেছিলেন কিন্তু একটি পাট ও বিক্রি করতে পারেননি তারা বলে অভিযোগ করছে।এইভাবে চলতে থাকলে আমরা অনাহারে দিন কাটাবো। আমাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিক্রি না হওয়ার ফলে বাড়িতে অসুস্থ সদস্যদের চিকিৎসা করাতে পারছিনা। যদি আমাদের পাঠ গোলামালিকরা ক্রয় না করে তাহলে আমরা পাট নিয়ে কি করবো বাধ্য হয়ে আমরা সমস্ত পাটে আগুন লাগিয়ে প্রতিবাদে নামতে বাধ্য হবো।
এ বিষয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর এর তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি রাধেশ্যাম গড়াই জানান, আমাদের মোট ১৬ দফা দাবিতে এই প্রতিবাদে নেমেছি। পাটের গোলাতে কাজ করা শ্রমিকদের মূল্যবৃদ্ধি ।১০০ টাকা করতে হবে । কিন্তু মালিকপক্ষ ৭০ টাকার বেশি দিতে চাইছেন না।এবং তাদেরকে সামান্য কিছু টিফিন প্রদান করতে হবে এছাড়া বিভিন্ন দাবি-দাওয়া রয়েছে এই দাবিগুলো নিয়েই আমাদের এই আন্দোলন। তবে আমরা চাষীদের পাট কেনাবেচার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করিনি গোলা মালিকরাই বরং পাট কিনতে চাইছে না তাদের মুনাফার জন্য যাতে পাটের দাম কমে যায়। বর্তমান বাজারে পাটের মূল্য প্রায় ৪২০০ টাকা কুইন্টাল।
এ বিষয়ে পাটে গোলার গোপাল ভগৎ মালিক জানান, তারা বারবার এই প্রতিবাদে নেমে মূল্য বৃদ্ধি করছে তারা একটা বাহানা পেয়ে গেছে। আমরা চাষীদের কাছ থেকে পাট ক্রয় করতে চাই কিন্তু শ্রমিকদের হুঁশিয়ারি দের জন্য আমরা সেই পাট করতে পারছিনা। শনিবারও তারা এক গোলা মালিকের উপরে চড়াও হয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এরপরে আমরা পাট কিনতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছি পাট চাষীদের কাছ থেকে।