ছাত্রীর যৌন নিগ্রহ গৃহ শিক্ষক দ্বারা

নুরউদ্দিন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ছাত্রীটির বয়স মাত্র ১০ বছর। গৃহ শিক্ষকের বাড়ি রোজের মতই পড়তে গিয়েছিল ছাত্রী, সেখানে গিয়ে হঠাৎ তার বাথরুম পায়। স্যারকে বলতে তিনি বাথরুম দেখিয়েও দেন। ওইটুকু বয়স ছাত্রীর, তাই ৭-৫ না ভেবে স্যারের বাড়ির বাথরুমে যায়‌ ছাত্রী, তখনই ঘটে ভয়ঙ্কর কাণ্ড। প্রৌঢ়ত্বের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা গৃহশিক্ষক পেছন থেকে এসে জড়িয়ে ধরে ছাত্রীকে! যৌন নিগ্রহ করে। কোনরকমে স্যারের হাত ছাড়িয়ে বাড়ি পালিয়ে আসে ওই নাবালিকা‌ ছাত্রী, মা-বাবাকে সব কিছু খুলে বলে ছাত্রী, তারপরই ছাত্রীর পরিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহশিক্ষক ভাগ্যধর হালদারকে (৫৩) গ্রেফতার করেছে রায়দিঘী থানার পুলিশ।

    শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাবালিকা ছাত্রীকে নিগ্রহের এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘীর। এখানকার কুমড়া পাড়ায় বাড়ি ছাত্রীটির। বুধবার সন্ধেয় অন্যান্য দিনের মতই ছাত্রীটি পড়তে গিয়েছিল জয়কৃষ্ণপুরের ভাগ্যধর হালদারের কাছে। ওই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ তাদের মেয়ে যখন বাথরুমে যায় সেই সময় সেখানে আর কেউ ছিল না। সেই সুযোগেই মাত্র বছর দশকের ছাত্রীর যৌন নিগ্রহ করে ওই শিক্ষক। বাড়ি ফিরে বুধবার রাতেই বাবা মাকে সব কথা খুলে বলে বলে পরিবারটির দাবি।

    তারপর বৃহস্পতিবার দিন সকালে ওই ছাত্রীর পরিবার রায়দিঘী থানায় অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এরপর রায়দিঘী থানার পুলিশ দক্ষিণ জয়কৃষ্ণপুর থেকে গৃহশিক্ষক ভাগ্যধর হালদারকে আজ গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত গৃহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর শুক্রবার ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে ঐ অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে তোলা হবে। অন্যদিকে নাবালিকা ছাত্রীর যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গৃহশিক্ষক গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা জানাজানি হতেই রায়দিঘীতে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।