|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা :স্কুল-কলেজ ছন্দে ফিরেছে, স্কুলমুখী পড়ুয়ারাও৷ শ্রেণিকক্ষে পঠন-পাঠন শুরু হলেও ছাত্র-ছাত্রীদের প্র্যাকটিকাল ক্লাস নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে। করোনা পরিস্থিতির জেরে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল স্কুল-কলেজ। তার ফলে যে পড়ুয়ারা ভীষণ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের গন্ডি পার করেছে পড়ুয়ারা। কিন্তু, বহু পড়ুয়াই বিজ্ঞানের ল্যাবওয়ার্ক থেকে অনেক দূর রয়ে গেছে। বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে গেলেও তারা জানেই না পিপেট কোনটা, আর বুরেট কোনটা। কিংবা কীভাবে মাইক্রোস্কোপ সেট করতে হয়। এবার পড়ুয়াদের হাতে কলমে বিজ্ঞান শিক্ষার পাঠ দিতে এগিয়ে এসেছে আমতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন৷ সংগঠনটির পক্ষ থেকে গ্রামীণ হাওড়ার আমতা-১ ব্লকের উদং-ফতেপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় চালু করা হয়েছে ‘সুচিন্তিকা দাস স্মৃতি ল্যাবরেটরি’৷এই ল্যাবরেটরিতে নিয়মিত ক্লাস করাচ্ছেন সংগঠনের সদস্য শিক্ষক রাকেশ মন্ডল, শিক্ষক সৌভিক চৌধুরী, শিক্ষক অনুপম দোলুইরা। তাঁরা পড়ুয়াদের হাতে ধরে বুঝিয়ে দিচ্ছেন মাইক্রোস্কোপ কীভাবে সেট করতে হয়, ডিসেকশন কীভাবে করতে হয় ইত্যাদি। রসায়ন বিজ্ঞানের শিক্ষক সৌভিক ছাত্রছাত্রীদের টাইট্রেশন করে দেখাচ্ছেন। পাশাপাশি, পড়ুয়াদের বোঝালেন বিকার, পিপেট, বুরেটের ব্যবহার। এই প্র্যাকটিকাল ক্লাস নিয়ে পড়ুয়ারাও রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। বহু দূরদূরান্ত থেকে ক্লাস করতে আসছে পড়ুয়ারা।দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শিউলি চক্রবর্তীর কথায়, “এই সংগঠন যেভাবে প্র্যাকটিকাল ক্লাস করার ব্যবস্থা করেছে তা সত্যিই আমাদের জন্য অনেক উপকারী।” সংগঠনের সহ-সভাপতি পেশায় শিক্ষক রাকেশ মন্ডল বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য পড়ুয়াদের মধ্যে বিজ্ঞানের প্রতি চেতনা ও ভালোবাসা গড়ে তোলা। আর তার জন্যই হাতেকলমে বিজ্ঞানের পাঠ দেওয়া প্রয়োজন। সেখান থেকেই আমাদের এই ভাবনা।”
সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা এই ক্লাসে অংশ নিতে পারবেন। তিনি আরও জানান, অর্থনৈতিক সমস্যার জন্য সব পরিকাঠামো এখনই গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। তবে আস্তে আস্তে সবই করা হবে।উল্লেখ্য, শিক্ষায় স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে বছরভর কাজ করে চলেছে আমতার এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শতাধিক পড়ুয়াকে বই, শিক্ষাসামগ্রী দেওয়ার পাশাপাশি লড়াকু মেধাবী পড়ুয়াদের স্কলারশিপ প্রদান করে এই সংগঠন। এবার তাদের উদ্যোগে চালু হয়েছে ফ্রি ল্যাব।