স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে সুন্দরবন পুলিশ জেলা

নুরউদ্দিন, রায়দিঘী : সু্ন্দরবনের রায়দিঘী বিধানসভার রায়দিঘী থানার দিঘিরপাড় বকুলতলা প্রাইমারি স্কুল। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ার সংখ্যা ২০০-র বেশী। প্রান্তিক মৎস্যজীবী, ক্ষেতমজুর ও পরিযায়ী শ্রমিকদের সন্তানেরা এই স্কুলে পড়াশোনা করে। সস্প্রতি মিডে-‌ডে মিল প্রকল্প ঘুরে দেখতে রাজ্যে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় দল আসার আগে রাজ্যের স্কুলগুলির কাছে কিছু নির্দেশিকা আসে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়, পড়ুয়াদের নিজস্ব কথা জানানোর জন্য স্কুলে একটি ড্রপবক্স রাখতে হবে। সেই নির্দেশিকা মেনে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাখা হয় ড্রপবক্স ‘‌ মনেরকথা’‌। এই বক্সে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের নিজস্ব কথা লিখে জমা দিতে বলা হয়। শিক্ষকদের কথা মতো প্রায় ২০ জন পড়ুয়া তাদের মনেরকথা লিখে ওই ড্রপবক্সে ফেলে। আর ড্রপবক্স খুলতেই পড়ুয়াদের মনেরকথা পড়ে রীতিমত শিক্ষকরা স্তম্ভিত। ছেঁড়া কাগজের টুকরোয় আঁকাবাকা হরফে ফুটে উঠেছে তাদের মনেরকথা। তারা লিখেছে-‌‘‌ বাবা-‌মা কেউ আমাকে ভালবাসেনা।’‌ ‘‌ আমি নাচ শিখতে চাই, কিন্তু আমাকে নাচের স্কুলে ভর্তি করা হচ্ছে না।’‌ ‘‌ বাবাকে একটি পেন্সিলবক্স কিনে দিতে বলেছিলাম, বাবা-মা কিনে দেয়নি।ছাত্র ছাত্রীদের এই কথাগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়, তারপর সুন্দরবনের জেলা পুলিশের আইপিএস শ্রী কটেশ্বর রাও এন সাহেব সোশ্যাল মিডিয়ার প্রকাশিত খবর দেখে আজ অর্থাৎ বুধবার দিন ‌পরিদর্শন করতে আসলেন বকুলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, পরিদর্শন করতে এসে পড়ুয়াদের হাতে পেন্সিল বক্স, নারকেল গাছের চারা সহ বেশকিছু স্কুল পঠন পাঠন তুলে দিলেন, তাতে স্কুল ছাত্র ছাত্রীরা অনেকটাই খুশি, সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্দির বাজারের ডিএসপি সাহেব ও মথরাপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও সাহেব সহ রায়দিঘি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার অমিও কুমার ঘোষ মহাসয় ও রায়দিঘি থানার পুলিশকর্তারা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।