|
---|
মফিজুল ইসলাম : ভগবানগোলার এক নম্বর ব্লকের “অঞ্চলে একদিন”সুন্দরপুর অঞ্চলে অনুষ্ঠানটি হলো, জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা গেল।অমিত শাহকে কালো পতাকা দেখানো হবে,দিলীপ ঘোষের মুখে কালি ঘষা হবে। দিদির প্রকল্প জনস্বার্থমুখী, বলল জনগন।
আজ ১৪ই জানুয়ারী শনিবার, মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলা বিধানসভার এক নম্বর ব্লকের সুন্দরপুর অঞ্চলে দিদির সুরক্ষা কবচ এর অঙ্গ হিসেবে”অঞ্চলে একদিন”কর্মসূচি অনুষ্ঠান হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনস্বার্থমুখী প্রকল্পগুলি জনসাধারণরা ঠিক মতো পাচ্ছে কিনা কিম্বা পেয়েছে কিনা তারই তদারকি করতে আজকের এই অনুষ্ঠানটির মূল বিষয়বস্তূ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং সারা ভারত তৃনমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক ব্যানাজীর নির্দেশে, দিদির সুরক্ষা কবচের একটি অংশ হিসাবে এই অঞ্চলে একদিন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির তালিকা অনুযায়ী যেমন আশীর্বাদী প্রার্থনা, প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, মধ্যাহ্ন ভোজন, জনসাধারণের সঙ্গে আলাপচারিতা, তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা শুনা, জনসংযোগ, পন্চায়েত সংলাপ, অঞ্চল কর্মীসভা, নৈশভোজ,রাত্রিযাপন ইত্যাদি কর্মসূচিগুলো সুন্দর ভাবে শেষ হয়। জনসাধারণের উৎসাহ এবং উদ্দীপনায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, অভিষেক ব্যানাজী জিন্দাবাদ, জনসাধারণের এই ধ্বনিতে “দিদির সুরক্ষা কবচ” অনুষ্ঠানটি, বিজেপি সহ বিরোধীদের মুখে হাসি কেড়ে নেয়।
বিধায়ক ইদ্রিস আলী বলেন, দিদির প্রকল্পগুলি সকলের কাছে পৌঁছে গেছে, এক এক বাড়িতে তিন/ চারটে প্রকল্প পেয়েছে। সেইগুলো জনসাধারণ প্রমান দেওয়ার ফলে বিজেপি সহ বিরোধীদের গায়ে জ্বালা দিচ্ছে। বিধায়ক ইদ্রিস আলী আরো বলেন, যদি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ মুর্শিদাবাদ জেলায় বা ভগবানগোলায় আসেন তাহলে তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হবে, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের মুখেও কালি ঘষা হবে। বিধায়ক ইদ্রিস আলী এবং ব্লক সভাপতি আহসানুর রহমান কিছু মহিলার সঙ্গে কথা বলেন, তারা সকলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাংসা করে বলেন আমরা দিদির সুরক্ষা কবচ এর সাথে আছি।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভগবানগোলা এক নম্বর ব্লকের সহ সভাপতি রিয়াত হোসেন সরকার, পন্চায়েত সমিতির সদস্য সেখ গোলাপ, অঞ্চল সভাপতি জইদুল ইসলাম, অঞ্চল সভাপতি মিহির রায়,সেকান্দর হোসেন, আশরাফ বাসার বাপি, সুনীল বাহালিয়া, মহিলা নেত্রী বরনালী দাস,আব্দুস সামাদ, আবু সাইম রিপন, রমজান আলী, সাবিরুল ইসলাম, সফিকুল ইসলাম, মইনুদ্দিন প্রমুখ।