১ টাকা জরিমানা বা তিন মাসের জেল’ সুপ্রীম কোর্টের বিচারকের অবমাননা করাই ভূষণের সাজা ঘোষণা করলেন সুপ্রিম কোর্ট

 

    নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক : সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী তথা সামাজিক আন্দোলন কর্মী প্রশান্ত ভূষণকে প্রধান বিচারপতি ও বিচার ব্যবস্থার অবমাননা মামলায় সাজা দিল সুপ্রিম কোর্ট। তাকে এক টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের। জানা গিয়েছে জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে প্রশান্ত ভূষণের তিন মাসের কারাবাস হবে। সেইসঙ্গে তিন মাস আইনজীবী হিসেবে কাজ চালাতে পারবেন না।

    কিছুদিন আগে সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ৫০ লক্ষ টাকার বাইকে চেপে বিনা মাস্ক পরে একজন বিজেপি নেতার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন সেই বিষয়ে দুটো টুইট করেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী প্রসান্ত ভুসান। তিনি বলেন যেখানে আইন তৈরি হচ্ছে বা যারা আইন তৈরি করছে তারা নিজেই যদি আইন না মানে তাহলে সাধারণ মানুষ কি করে পালন করবে। ওনার এই টুইট এর জন্য ওনার উপর ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। ওনাকে ক্ষমা চাইতে বলা হলে উনি সরাসরি অস্বীকার করে দেই। তিনি বলেন আমি সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে কথা বলিনি আমি কথা বলেছি সুপ্রীম কোর্টে বসে থাকা আইন অবমাননা কারিদের বিরুদ্ধে। আমার বাক স্বাধীনতা আছে নিজের মতামত প্রকাশ করার আমি ভুল কিছু করিনি, আমি ক্ষমাও চাইবো না। সুপ্রিম কোর্ট ওনাকে সময় দেই ক্ষমা চাওয়ার জন্য কিন্তু তিনি বলেন যতোই সময় দেওয়া হোক আমি ক্ষমা চাইবো না। তিনি জনসাধারণের উদ্দেশ্য বলেন আজকে দেশের অবস্থা খুবই খারাপ কালকে যদি আমাদের বাচাতে হয় তাহলে আজকেই আমাদের পথে নামতে হবে নইলে আমাদের কাছে আর কোনো উপায় থাকবে না।

    সুপ্রিম কোর্ট ১৪ ই আগস্ট প্রশান্ত ভূষণকে বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে তার দুটি অবমাননাকর টুইটের জন্য ফৌজদারী অবজ্ঞার জন্য দোষী করে বলেছিল যে তাদেরকে জনস্বার্থে করা বিচার বিভাগের কার্যকারিতা সম্পর্কে সুষ্ঠু সমালোচনা বলা যায় না। ২৫ আগস্ট, ভূষণের প্রতিনিধিত্ব করে আইনজীবী “ধাওয়ান” পরামর্শ দিয়েছিলেন যে শীর্ষ আদালত ১৪ ই আগস্টের রায়কে আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করবে এবং কোনও দণ্ড আরোপ না করে কেবল মামলাটি বন্ধ করে বিরোধিতার অবসান ঘটাতেও অনুরোধ করেছিলেন ।