মন্ত্রী হয়েই অখিল বলেন, ‘আমার লড়াইটা ছিল অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধেও’

নতুন গতি ডেস্কঃ সোমবার জাঁকজমকহীন অনাড়ম্বরপূর্ন অনুষ্ঠানে শপথ নিলেন মমতার মন্ত্রিসভার মন্ত্রীরা। দফতর বন্টনের ক্ষেত্রে বড় চমক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় মন্ত্রীদের দফতরের যে তালিকা ট্যুইট করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর দফতরে বড় রদবদল হয়েছে৷

    প্রবীণ নবীনের সংমিশ্রণে গঠিত নতুন মন্ত্রীসভা থেকে অবিভক্ত মেদিনীপুরে রয়েছে একাধিক মন্ত্রী।
    ডেবরার বিধায়ক হুমায়ূন কবীর কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী হলেন। কেশপুরের বিধায়ক শিউলি হলেন পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী। শালবনীর বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো ক্ষুদ্রশিল্প প্রতিমন্ত্রী এবং বীরবাহা হাঁসদা বন প্রতিমন্ত্রী হলেন। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী হলেন সন্ধ্যারাণী টুডু। মানস রঞ্জন ভূঁইয়া হলেন জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী। সেচমন্ত্রী হলেন সৌমেন মহাপাত্র। মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী হলেন অখিল গিরি।
    নতুন দায়িত্ব পাওয়ার সূত্রেই অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অখিল বলছেন, ‘‘এ বার অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যেমন লড়াই ছিল, তেমনই অধিকারীদের বিরুদ্ধেও আমার লড়াই ছিল। ওরা যে ভাবে দলকে পরিচালনা করছিল, আমার লড়াইটা ছিল তারই বিরুদ্ধে। আমার ভাবতে ভাল লাগছে, অধিকারীরা চলে যাওয়ার পরেও, আমরা জায়গাটা অনেকটা ধরে রাখতে পেরেছি।’’ জেলায় বিজেপি-কে রুখে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েই অখিল বলছেন, ‘‘তমলুকের থেকে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের বেশি আসনে আমরা পিছিয়ে আছি। আমার প্রথম লড়াই হবে, যে আসনগুলি আমরা হারিয়েছি সেই জায়গাগুলিতে পুনরায় ফিরে আসা।’’ চেষ্টার ফল ফলবে বলেও আশাবাদী অখিল।রামনগর থেকে অখিল প্রথম বার তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন ২০০১ সালে। এর পর ২০০৬ সালে সিপিএমের স্বদেশরঞ্জন দাসের কাছে হেরে যান তিনি। তবে ২০১১ সালে তাঁর প্রত্যাবর্তন ঘটে। তার পর লাগাতার ২০১৬ এবং গত বিধানসভা নির্বাচনেও রামনগর কেন্দ্র থেকে জেতেন অখিল।