|
---|
সেখ সামসুদ্দিন, ২২ জুনঃ পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি স্বপ্নসন্ধানী শিক্ষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র প্রতিবছরের মতো এই বছরেও বিশ্ব পরিবেশ দিবস স্মরণে ২২ জুন, আয়োজিত করে এক বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাৎসরিক সাংস্কৃতিক পরীক্ষা। অনুষ্ঠানের সূচনা লগ্নে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী রামকৃষ্ণ কুণ্ডু। তিনি তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন—পরিবেশ ও সংস্কৃতির এই যুগ্ম চর্চাই আগামী প্রজন্মকে একটি সুস্থ ও সুশৃঙ্খল জীবনের দিশা দেখাতে পারে, যা আগামী প্রজন্মের জন্য এক সুস্থ ও সচেতন ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে। উপস্থিত সকলের হাতে বৃক্ষচারা প্রদান করে সংস্থা পরিবেশ রক্ষার বার্তাকে আরও জোরালো করে তোলে, দেওয়া হয় সবুজে ফেরার বার্তা। অনুষ্ঠান শুরু হয় সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি প্রয়াত শিক্ষক চিত্ররঞ্জন কুণ্ডু মহাশয়ের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা , মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ নিবেদন করে। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ‘বৃক্ষবন্ধু’ সোমনাথ গুপ্ত, সাংবাদিক সেখ সামসুদ্দিন, পরীক্ষক শিক্ষিকা রুমসু মুখার্জী, অভয়া দাস, চন্দ্রা মিত্র, অভিভাবক অভিভাবিকা, ছাত্র-ছাত্রী সহ আরো বিশিষ্টজনেরা। সাংস্কৃতিক পরিবেশনার অংশ হিসেবে নৃত্য, আবৃত্তি ও গানে সমৃদ্ধ এই দিনটি আরও রঙিন হয়ে ওঠে সংস্থার ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশনায়—বিশেষ করে ঋত্বিকা কুণ্ডুর নৃত্য সকলকে আকৃষ্ট করে। উপস্থিত সকলেই প্রশংসা করেন। বার্ষিক সাংস্কৃতিক পরীক্ষার মাধ্যমে অনলাইন ও অফলাইন মিলিয়ে প্রায় শতাধিক ছাত্রছাত্রীর একাগ্রতা ও শিল্পচর্চার মূল্যায়নও হয় এদিন। উল্লেখ্য, মেমারি স্বপ্নসন্ধানী শিক্ষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি সচেতন সমাজ ভাবনার রূপায়ণ। সংস্থাটিতে নৃত্য, আবৃত্তি, কোচিং ক্লাস (পঞ্চম থেকে স্নাতক পর্যন্ত), কম্পিউটার, স্পোকেন ইংলিশ, টেলারিং ইত্যাদি বিষয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে বেশ কিছু কোর্সের সুযোগও সংস্থা থেকে প্রদান করা হয়ে থাকে। রামকৃষ্ণ কুণ্ডু জানান, আজকে বৃক্ষচারা বিতরণের পাশাপাশি বিগত বছরের রোপিত গাছের অনলাইন প্রদর্শনী এবং পরিবেশ বিষয়ক এবং সাংস্কৃতিক চর্চার বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে দিনটি আরও অর্থবহ হয়ে ওঠে। পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, সংস্থার ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে নৃত্য অনুষ্ঠানে এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সমাজ সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছে দিয়ে মানুষকে সচেতনতার কাজ এই সংস্থা নিয়মিত করে চলছে। বিবিধ কর্মসূচির নেপথ্যে রামকৃষ্ণ কুণ্ডু মহাশয়ের নিষ্ঠা ও নেতৃত্ব প্রশংসনীয়। অতিথি, শিক্ষক শিক্ষিকা, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে দিনটি হয়ে ওঠে এক স্মরণীয় । এই অনুষ্ঠান পরিবেশ ও সংস্কৃতির অপূর্ব মেলবন্ধনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।