মুকুলের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর আইনি হুঁশিয়ারি, পরোয়া করছেনা মুকুল

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের সদস্যপদ বাতিলের দাবিতে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে শুনানি ছিল আজ। সেখানে হাজির হয়েছিলেন খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু অধ্যক্ষের শুনানিতে বিশেষ আস্থা নেই বিরোধী দলনেতার। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রথমবার শুনানিতে হাজির হয়েও সন্তুষ্ট হতে পারেননি তিনি। তাই আইনি পথে হাঁটার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। ফলে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিজেপি চাপ বাড়াচ্ছে মুকুলের উপর। কিন্তু মুকুল রায় নিজে কী ভাবছেন? তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুল অবশ্য শুভেন্দুকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ।

    কৃষ্ণনগরের বিধায়ক এদিন বলেন, ‘যে যেখানে খুশি যেতে পারে। প্রত্যেকেরই অভিযোগ জানানোর এক্তিয়ার আছে। যার যেখানে মনে হবে, সেখানে যে যেতেই পারে। আমার এ বিষয়ে কিছু বলার নেই।’ অর্থাৎ, তিনি যেন বোঝাতে চাইলেন, শুভেন্দু যতই চাপ তৈরির চেষ্টা করুক, তাতে তিনি আমোল দিতে নারাজ।

    এদিন মুকুলের বিরুদ্ধে অবশ্য বেশ কিছু তথ্য, প্রমাণ অধ্যক্ষের কাছে জমা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু৷ আগামী ৩০ জুলাই ফের এই অভিযোগের শুনানি করবেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে বিরোধী দলনেতা এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি৷ পাশাপাশি মুকুল ইস্যুকে এবার দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও করেছে গেরুয়া শিবির৷

    এদিকে, এদিন উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুরে মুকুল রায়ের স্ত্রীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পৌঁছে গিয়েছিলেন ডোমজুড়ের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন বিধাননগরের বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী দত্তও। বিজেপির টিকিটে ভরাডুবির পর ফের একবার তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। সব্যসাচীকে নিয়েও সেই সম্ভাবনা যথেষ্ট জোরাল।

    যদিও রাজীব-সব্যসাচী, দুজনের দাবি এই আগমনের নেপথ্যে রাজনীতির কিছুই নেই। রাজীব বলেন, ‘মুকুলদাকে অনেকদিন চিনি। বউদির সঙ্গেও পরিচয় ছিল। অনেক কথা হয়েছে। ওনার অসুস্থতার সময় হাসপাতালে গিয়েছি। আজ এখানে এসেছি তাঁর আত্মার শান্তি কামনায়।’ একই সুর সব্যসাচীর গলাতেও। যদিও গুঞ্জন অবশ্য তাতে থেমে থাকছে না।