|
---|
হামিম হোসেন মণ্ডল : ২১ জুলাই, রাজ্যে বর্তমান শাসক দল শহীদ দিবস পালন করে। ১৯৯৩ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ও নেতৃত্বে বামফ্রন্ট সরকারের একটি নীতির বিরুদ্ধে যুব কংগ্রেস সমাবেশ করে। তাতে পুলিশ গুলি চালায়। ১৩ জন নিহত হন। দিনটি কংগ্রেস শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। পরবর্তী কালে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম হলে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয়ভাবে বড় করে বার্ষিক শহীদ দিবস পালন করে আসছেন।
এদিন সেই শহীদ স্মরণ ছাড়াই মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় ‘তবুও উজান’ সাহিত্য পত্রিকার আয়োজনে মাসিক সাহিত্য আসর হয়েগেল। আক্ষরিক অর্থে অনুষ্ঠান সভাপতি, প্রধান অতিথির গতানুগতিক নিয়ম বাদ রেখে ঘরোয়া পরিবেশে আসর চলল দিনের শেষে প্রায় পাঁচ ঘন্টা। উল্লেখযোগ্যভাবে এসেছিলেন কাটোয়া থেকে কবি রাজকুমার রায়চৌধুরী। তিনি ধর্ম বিশ্বাসী নন। তিনি দৃঢ়ভাবে নিজেকে নাস্তিক বলেই পরিচয় দিলেন। কলকাতা থেকে এসেছিলেন সাহিত্যিক সুকুমার রুজ। তাদের সামনে উপস্থিত সাহিত্যপ্রেমীরা স্ব স্ব রচনা পাঠ করলেন। গল্পপাঠ, কবিতা পাঠের মাধ্যমে সময় অতিবাহিত হল। প্রত্যেকের রচনায় ভুলভ্রান্তি ধরিয়ে দিয়ে কিছু না কিছু উপদেশ দিলেন সমালোচক রাজকুমার বাবু ও সুকুমার বাবু। তারা সকলকে বেশি বেশি করে বই পড়ার পরামর্শ দিলেন এবং আলোচনায় বুঝিয়ে দিলেন উপস্থিত সকলের থেকে তাঁরা কেন আলাদা।
উপস্থিত ছিলেন ‘তবুও উজান’ সাহিত্য পত্রিকার প্রকাশক আফতাবুদ্দিন সেখ, যুগ্ম সম্পাদক রাজকুমার শেখ ও মোঃ আসাদুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ মোজাম্মেল সেখ সহ অন্যান্যরা।