কৌশিকী অমাবস্যা  উপলক্ষে সেজে উঠেছে বীরভূমের তারাপীঠ কিন্তু সমস্ত পোস্টা থেকে বাদ পড়েছেন অনুব্রত মণ্ডল

নিজস্ব সংবাদদাতা : গরুপাচার মামলায়  জেলে যেতেই বীরভূমের  পোস্টার থেকে বাদ পড়লেন অনুব্রত মণ্ডল । মূলত কৌশিকী অমাবস্যা  উপলক্ষে সেজে উঠেছে বীরভূমের তারাপীঠ। কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠের রাস্তায় পড়েছে একাধিক পোস্টার। বিগত বছরগুলিতে সেখানে অনুব্রত-র ছবি দেওয়া পোস্টারে ছেয়ে যেত। কিন্তু এবার তা উধাও। তবে এবার সেখানে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের তরফে পড়েছে শুধুই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছবি। আর সেই পোস্টারে রয়েছে রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। কিন্তু সমস্ত পোস্টা থেকে বাদ পড়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। আর এনিয়েই কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিরোধীরা। বীরভূম সাংগাঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেছেন, ‘রাস্তায় দাঁড়িয়ে সবাই বলছে গরু চোর , গরু চোর। তৃণমূল কংগ্রেস আর গরু চোরের ছবি রাখতে চাইছে না।’ সিপিএম-র বীরভূম জেলা কমিতি-র সদস্য সঞ্জীব বর্মণ বলেছেন, ‘গরুপাচার চক্রের প্রধান চক্রী এবং সে জেলে আছে। একটা চোরের ছবি দেখতে দেখতে পুর্ণার্থীরা পুন্য করতে যাবে ! হয় নাকি তাই? ‘প্রসঙ্গত, আজ কৌশিকী অমাবস্যায় তারপীঠ মন্দিরে ভক্ত সমাগম। করোনা কাঁটা কাটিয়ে মায়ের পায়ে পুজো জিতে অগণিত ভক্ত জড়ো হয়েছেন শক্তিপীঠে। কৌশিকী অমাবস্যায় মা তারার বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হয় । রাতে মন্দির চত্বরেই মহাযজ্ঞ ও নিশিপুজোর আয়োজন করা হয়। ৫১ সতীপীঠের অন্যতম পীঠ কঙ্কালী তলাতেও বিশেষ হোম-যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। আর প্রতিবছর এই বিশেষক্ষণে সারা বীরভূমে অনুব্রত-র পোস্টার পড়ে যায়। কিন্তু এবার তা আর পড়ল না। ইতিমধ্যেই গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মন্ডল। আসানসোলের সিবিআই আদালতের নির্দেশে তার জেল হয়েছে। সামনে এসেছে তার একাধিক জমি, রাইসমিলের মাঝে প্রকাশ্যে আসে বিস্ফোরক তথ্য। অনুব্রত-কে নিয়ে সম্প্রতি বিস্ফোরক দাবি করেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তিনি বলেন, ‘৩-৪ কোটি হাজার টাকার মালিক অনুব্রত। কাঁধে করে গরু নিয়ে পাচার করতেন অনুব্রত, তৃণমূলে সব লোকজন বলত, এমনটাই শুনতাম, বলে জানান বিজেপি নেতা। অনুব্রত-র ইস্যুতে তিনি আরও বলেন, ‘যদি সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখি, দিনের শেষে আমরা মানুষ। উনি গ্রেফতার হয়েছেন। আস্তে আস্তে আরও অনেক জিনিস খুলবে। আরও রাঘব বোয়ালদের নাম বেরিয়ে আসবে। ততটাই কামাও, যতোটা ভোগ করতে পারবে। উনি এতটাই কামিয়ে ফেলেছেন, মানে আমাদের কাছে এখনও যা কাগজ পত্র জমা পড়েছে, তাতে করে উনি ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকার মালিক। এটা একটা রোগ। একটা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কত টাকা লাগে ! উনি যা উপর্জন করেছেন , এরপরের ১০টা জেনারেশন বসে খাবে। যখন আমি তৃণমূলে ছিলাম, তখন আমি শুনতাম, বলতেন , আমার এক ঘর টাকা হবে।’