|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলে যোগ দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে শনিবার সকালেই ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করেন বাবুল। সদ্য ‘রাজনীতি ত্যাগী’ আসানসোলের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই তৃণমূল যোগদান নিয়ে তুমুল জল্পনা ও প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ৩১ জুলাই রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন বাবুল সুপ্রিয়।
তথাগত রায় একটি ট্যুইট বার্তায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে বিপদে ফেলেছে বিশ্বাসঘাতকরা। বেচারা বাবুল সুপ্রিয়র উপর রাগ করে আর কী হবে? ও তো প্রথম বিশ্বাসঘাতক নয়, শেষও নয়। কিন্তু মতাদর্শ চিরন্তন। ব্যক্তি পুজো কখনও মতাদর্শকে হারাতে পারবে না। বিপদ কেটে যাবে।” ট্য়ুইট করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়।
তথাগত রায়ের এই ট্যুইট বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজ্য রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এই পোস্টে তথাগত রায় শুধু বাবুল সুপ্রিয়কে তোপ দেগেছেন এমনটা নয়। একুশের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেই BJP শিবির ছেড়ে ফের একবার তৃণমূলে যোগদান করেন মুকুল রায়।
এখানেই শেষ নয়, এরপর আরও দুই বিজেপি বিধায়ক ফেরেন ঘাসফুল শিবিরে। গত ২ মের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরে ভাঙন অব্যাহত। কখনও কেউ বেসুরো হচ্ছেন, আবার অনেকে দল ছাড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে তথাগত রায় যে মন্তব্য করেছেন তা অত্যন্ত অর্থবহ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূল যোগদান নিয়ে একটি ট্যুইটবার্তায় স্বপন দাশগুপ্ত লেখেন, “আমি ভবিষ্যতের কথা বলতে পারব না, কিন্তু বাবুল সুপ্রিয় বিজেপির সম্পদ ছিলেন এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে তাঁর দলের প্রতি কাজের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। একইসঙ্গে তিনি লিখেন আমাদের মতো যাদের জন্য বিজেপি আজীবন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তাদের লড়াই চলবে – এমনকি প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আমরা সেই লড়াই চালিয়ে যাবো।
প্রসঙ্গত, রাজনীতির কক্ষ পথ ছেড়ে দিয়ে সমাজসেবার পেশা বেছে নেবেন বলেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু আদতে তা হল না, বাবুল থাকলেন রাজনীতির চৌহদ্দিতেই। কেন এই সিদ্ধান্ত, সাংবাদিক বৈঠকে নিজেই খোলসা করেছেন বাবুল। জানিয়েছেন, “আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি। আরও বলেন, যা ঘটার শেষ তিন চার দিনেই হয়েছে।”