চারাগাছ রোপণের মধ্যে দিয়ে বিবাহ বার্ষিকী পালন করলেন শিক্ষক সুমন মন্ডল

*নিজস্ব সংবাদদাতা , ঝাড়গ্রাম :‌ নিজেদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতে চারাগাছ রোপণ করে সবুজায়নের বার্তা দিলেন শিক্ষক সুমন মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী মৌমিতা মণ্ডল। ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের কুলটিকরী গ্রাম নিবাসী শিক্ষক সুমন মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী মৌমিতা মণ্ডল মঙ্গলবার তাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে বিগত বছরের ১২ মাসের স্মরণে ১২ টি চারাগাছ রোপণ করলেন। পাশাপাশি বাবা,মা ও পরিবারের মঙ্গলকামনায় তাঁরা অারো ৩ টি মিলিয়ে অর্থাৎ মোট ১৫ টি গাছের চারাগাছ রোপন করলেন।

    অর্জুন,বহড়া, কাজু,অাম সহ বিভিন্ন বৃক্ষ জাতীয় গাছ লাগানোর সাথে সাথে সেগুলিকে রক্ষনাবেক্ষন ও পরিচর্যা করে বড় করে তোলার শপথও তাঁরা এদিন গ্রহণ করেছেন। তাঁদের এই উদ্যোগের মূল অনুপ্রেরণা কুলটিকরী স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক গৌরসাধন দাস চক্রবর্তী ।যাঁর উদ্যমে কুলটিকরির পাটাশোলে শুরু হওয়া একটি সামাজিক বনসৃজনে প্রকল্প নিজের গতিতে এগিয়ে চলছে। গৌরসাধনবাবু যার নাম দিয়েছেন কুলটিকরি মডেল অফ এফরেস্ট্রশন আপলিপ্ট নেচার(Kultikri Model Of Afforestation Uplift Nature) বা সংক্ষেপে কুমায়ুন(KUMAUN)।
    পাথুরে ডাহি জমিতেও নিজেদের প্রয়াসে বৃক্ষরোপন করে, কুমায়ুন হিমালয়ের মত গাছে গাছে চিরসবুজ করে তুলতে চান তাঁরা। তাঁদের এই মডেলে ইতিমধ্যেই অনেক মানুষ সাড়া দিয়ে প্রায় ২০০০ চারাগাছ রোপণ করে তাদের বড়করে তোলার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।

     

    এদিন এই প্রকল্পের সাথে তাঁদের বিবাহ বন্ধনকেও জুড়ে দিলেন মন্ডল দম্পতি। সুমন বাবুর কথায় “অামরা অামাদের বিবাহিত জীবনের বর্ষপূর্তিতে ভাবলাম একটু অন্যরকম ভাবে পালন করি। তখনই গৌরবাবুর শুরু করা বনসৃজন মডেলের কথা মাথায় অাসে। যদিও এই প্রকল্পের সাথে আমি অাগে থেকেই ওতোপ্রোতভাবে ভাবে যুক্ত ছিলাম, তবুও এভাবে নিজেদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনকে স্মরনীয় করে রাখার ইচ্ছা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। এর সমস্ত কৃতিত্বই আমার মা-বাবা ও আমার শিক্ষক-শিক্ষিকা দের।”