|
---|
মহঃ সফিউল আলম, নতুনগতি, বীরভূম: ২০০৩ সালে বীরভূমের সদাইপুর থানার পানুড়িয়া হাইস্কুল থেকে ৬০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করেন সংস্কৃত বিষয়ের শিক্ষক ছাত্র দরদী ও স্কুলপ্রেমী মানুষ বিশ্বনাথ ঘোষ৷ বাড়ি ওই থানারই সিউড়ি ১ নং ব্লকের সিউর গ্রামে৷ বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব ৩ কিলোমিটার৷ অবসর নেওয়ার পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৬ বছর৷ এই দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আজও তিনি ছাত্র ছাত্রী ও স্কুলের টানে বিদ্যালয়ে আসেন সাইকেল চালিয়ে কখনওবা ছেলের বাইকে বসে৷ ৭৬ বছর বয়সে নিয়মিত ক্লাসও নেন৷ বিশ্বনাথ বাবুর এইরুপ সুন্দর মানসিকতা ও সদিচ্ছার তারিফ করেছেন শিক্ষক, পড়ুয়া, অভিভাবক থেকে শিক্ষাপ্রেমী মানুষজন৷ মাষ্টার মশাই এর দীর্ঘ সুস্থ জীবন কামনা করেছেন এলাকার শুভাকাঙ্খীরা৷
অবসর নেওয়ার পরেও নিয়মিত এত বছর ধরে তিনি স্কুলে আসছেন৷ এবিষয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক মলয় মহারাজ বলেন, আমি আগে টি আই সি রুপে ছিলাম৷ সদ্য পূর্ণ সময়ের প্রধান শিক্ষক রুপে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন গৌতম সেনগুপ্ত৷ আমরা শিক্ষকরা, অভিভাবক, ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষানুরাগী মানুষ জনেরা মাষ্টার মশাইএর জন্য সত্যিই গর্বিত৷ অভিভাবকরা বলেন, বিশ্বনাথ বাবুর মতো আদর্শ শিক্ষক তথা সমাজসেবী মানুষদের আজ সমাজে ভীষণ প্রয়োজন৷ বিশ্বনাথ বাবুর পুত্র পেশায় শিক্ষক রাজ কুমার ঘোষ বলেন, আমরা বাবার এইরুপ মহৎ কাজের জন্য গর্ব অনুভব করছি৷ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল হোসেন সহ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা বিশ্বনাথ বাবুর এমন সেবামূলক কাজের প্রশংসা করেছেন৷ অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষক বিশ্বনাথ বাবুর স্ত্রী তথা রাজ কুমার বাবুর মা উর্মিলা ঘোষেরও এক্ষেত্রে যে বিশেষ উৎসাহ দান ও অনুপ্রেরণা আছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা৷ এলাকার মানুষের প্রার্থন